কুয়াশা ভেজা শীতের সকালে খেজুরের রস আহ কি শান্তি

কুয়াশা ঢাকা শীতের সকালে খেজুরের টাটকা রস আহরণ করা একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়া । যা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রচলিতকাল শুরু হওয়ার সাথে সাথে গাছেরা খেজুর গাছ পরিষ্কার করে । সেখানে হাড়ি বেঁধে দেয় এবং সকালে সেই রোজ সংগ্রহ করা হয় । এই তাজা ও মিষ্টি রস শীতের সকালে ক্লান্তি দূর করে । এবং প্রকৃতির এক দারুন অনুভূতি যোগ করে যা অনেকের কাছে পরম শান্তি ও আনন্দের উৎস  ।

কুয়াশা ভেজা শীতের সকালে খেজুরের রস আহ কি শান্তি

কুয়াশা ভেজা শীতের সকালে খেজুরের রস আহরণ করা হয় । যা একটি ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু বাঙালির শীতকালীন অভিজ্ঞতা সূর্যের আলো বাড়ার আগেই সংগ্রহ করা হয় এবং এটি বাঙালির সংস্কৃতি ও খাদ্য তালিকায় একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ শীতকালের এক বিশেষ সৌন্দর্য ও শান্তি এনে দেয় । 

সূচিপত্রঃকুয়াশা ভেজা শীতের সকালে খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া ও  অনুভূতি তাৎপর্য জেনে নিই

কুয়াশা ভেজা শীতের সকাল আহা কি শান্তি

কুয়াশা ভেজা শীতের সকালে খেজুরের রস আহা কি শান্তি । এই বাক্যটি মূলত একটি অনুভূতি প্রকাশ করে যেখানে শীতকালের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে খেজুরের রস পান করার মাধ্যমে যে আনন্দ ও প্রশান্তি অনুভূত হয় তা তুলে ধরা হয়েছে এটি একটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যবহৃত একটি জনপ্রিয় উক্তি জাতির প্রকৃতির শান্ত মনোরম পরিবেশ এবং খেজুরের রস পানির অনুভূতিকে একত্রিত করে ।

শীতের শুরুতে যখন কুয়াশা পড়ে চারপাশ ধোঁয়াশাচ্ছন্ন থাকে  ।এই সময়ে সকালের পরিবেশে এক ভিন্ন রকম শান্ত ও স্নিগ ্ধ থাকে এই অংশটি একটি আবেগপূর্ণ প্রকাশ শীতের সকালে ঠান্ডা পরিবেশে কুয়াশার মধ্যে শুদ্ধ সংগ্রহ করা মিষ্টি খেজুরের রস পান করলে যে এক ধরনের মন ভোলানো শান্তি ও আনন্দে অনুভূত হয় তার প্রকাশ এটি ।

মূলত এই বাক্যটি শীতের সকালে প্রকৃতির শান্ত মনোরম পরিবেশের মধ্যে খেজুরের রসের উষ্ণতা ও  মিষ্টতা উপভোগ করার মাধ্যমে প্রাপ্ত এক গভীর প্রশান্তির অনুভূতিকে প্রকাশ করে। এটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে একটি জনপ্রিয় ক্যাপশন ও হ্যাশটেক হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।

খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া

১। গাছ প্রস্তুত করাঃ গাছীরা শীতকালে খেজুর গাছের উপরের অংশ পরিস্কার করেন খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে খেজুর গাছের মাথার অংশকে ভালো করে পরিষ্কার করা হয় এরপর পরিষ্কার সাদা অংশ কেটে বিশেষ কায়দায় ছোট-বড় কলসিতে রস সংগ্রহ করা হয় ।

২। রস নিষ্কাশনঃ এরপর গাছের সাদা অংশকে বিশেষ কৌশল  অবলম্বন করে কেটে রস বের করা হয় ।

৩। রস সংগ্রহঃ বিশেষ কায়দায় তৈরি করা ছোট বড় মাটির হাড়ি বা কলসিতে সে রস সংগ্রহ করা হয় ।

৪। সংগ্রহের সময়ঃ সাধারণত শীতকালে প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে গাছে হাড়ি ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং  সকালবেলা সেগুলো নামিয়ে আনা হয় ।

প্রাকৃতিক মিষ্টি

 খেজুরের রসে প্রাকৃতিক শর্করা এবং বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে । যা এটিকে একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় করে তোলে খেজুরের রস একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি যার খেজুর গাছ থেকে শীতকালে সংগ্রহ করা হয়  ।এবং এটি প্রাকৃতিক শর্করা ও পুষ্টিগুনে ভরপুর এই রস থেকে তৈরি হয় খেজুরের গুড় যা বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি হিসেবে পরিচিত  ।এবং এটি শরীরের দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে ।

খেজুরের রসের প্রাকৃতিক মিষ্টি হওয়ার কারণঃ

১। প্রাকৃতিক শর্করাঃ খেজুরের রসে উচ্চ মাত্রার প্রকৃতির শর্করা চিনি থাকে যা একে মিষ্টি করে তোলে । 

২। পুষ্টিগুণঃ এতে ভিটামিন খনিস উপাদান এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট ও রয়েছে যা এটিকে একটি স্বাস্থ্যকর মিষ্টির উচ্চ করে তুলেছে ।

৩। কৃত্রিমতা বর্জিতঃ এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে সংগ্রহ করা হয় এবং কোন কৃত্রিম রং বা প্রিজারভেটিক যোগ করা হয় না ।

৪। প্রস্তুত প্রক্রিয়াঃ তাপমাত্রা কমে গেলে খেজুর গাছের টার্চ ভেঙে চিনিতে পরিণত হয় এবং এই চিনি পানির সাথে মিশে রস তৈরি করে দেয় একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে পাওয়া যায় ।

ব্যবহারঃ

১। সরাসরি পানঃ টাটকা খেজুরের রস সরাসরি পান করা যায় ।

২। খাবার তৈরিঃ খেজুরের রস দিয়ে ফিরনি , পায়েস  , চিড়া  , মুড়ি ,  খই , চিতই , পিঠা ইত্যাদি বিভিন্ন পিঠা ও খাবার তৈরি করা হয় ।

৩। খেজুরের রসের গুড়ঃ এই রস কে ঘন করে জাল দিয়ে তৈরি করা হয় সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খেজুরের গুড় যা বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ।

সুতরাং খেজুরের রস ও এর থেকে তৈরি উভয় প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর মিষ্টি একটি চমৎকার উৎস ।

শীতের আমেজ খেজুরের রসের গুরুত্ব

কুয়াশা ও শীতের সকাল খেজুর গাছ ও রস আহরণের দৃশ্য প্রকৃতিকে এক নতুন রূপে সাজিয়ে তোলে  ।খেজুরের রস বাংলার শীতের এক অবিচ্ছাদ্য অংশ এবং এর মিষ্টি স্বাদ ও পুষ্টিগুণ শীতের আমেজকে বাড়িয়ে তোলে একলাশ উষ্ণ খেজুরের রস পান করা কিংবা তা দিয়ে পিঠা পায়েস খাওয়া বাঙালির সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যখন শীতের আগমনী বার্তা শুরু হয় তখন থেকে গাছেরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন যা শীতের প্রকৃত আমেজ তৈরি করে ।

১। শীতের স্বাদঃ ধনুক কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার মধ্যে খেজুরের রস পান করলে শীতের আমেজ আরো বেশি উপভোগ্য হয় ।

২। পুষ্টি উপাদানঃ খেজুরের রসে প্রাকৃতিক শর্করা ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকে যার 
 শরীরকে শক্তি যোগায় ।

৩। গাছিদের ব্যস্ততাঃ শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে গাছেরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন যা শীতের আগমনকে আরো দৃঢ় করে ।

৪। বিশেষত্বঃ শীতের সময় খেজুর গাছের কদর বাড়ে এবং এই সময়েই রস থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন পিঠা ও গুড় পাটালি যা শীতের উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশ ।

সংক্ষেপে খেজুরের রস শুধু একটি পানীয় নয় এটি বাঙালির শীতের সাথে উত্তপ্ত ভাবে জড়িত একটি সাংস্কৃতিক প্রতীক এর প্রতিটি দিনকে করে তোলে আরো উষ্ণ ও আনন্দময় ।

সাংস্কৃতিক গুরুত্ব

খেজুরের রসের সাংস্কৃতিক গুরুত্ব অপরিসীম কারণ এটি বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্য শীতকালীন সাংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ অংশ এবং শীতের সকালের শরীর ও মনকে সজীব করে তোলার এক ঐতিহ্যবাহী পানীয় এই রস থেকে তৈরি গুড় এবং বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পিঠা শীতের সময়ের অন্যতম আকর্ষণ যা বাঙালির সাংস্কৃতিক ও সামাজিক জীবনকে সমৃদ্ধ করে ।

বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শীতকালে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়  ।এবং তা দিয়ে গুড় তৈরি করা একটি ঐতিহ্যবাহী প্রথা যা গ্রামীণ সাংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক খেজুরের গুড় ছাড়া শীতকালে উৎসব আনন্দ অপূর্ণ থাকে বিশেষ করে শীতের পিঠা তৈরির জন্য খেজুরের গুড় অপরিহার্য যেমন ভাপা পিঠা বা অন্যান্য পিঠা ।

শীতের সকালে টাটকা খেজুরের রস পান করা শরীর ও মনকে প্রশান্তি এনে দেয় । এবং এটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার যা গ্রাম্য জীবন যাত্রার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত   রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুধু অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয় এটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার সাথে জড়িত ।

খেজুরের রস শীতকালে বাঙালির খাদ্য তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে এবং এর সাথে পিঠাপুলি ও গুড়ের স্বাদও জড়িত শীতকাল মানেই খেজুরের রস ও গুড় যা বাঙালির ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক অংশ ।

টাটকা রস ও মিষ্টি স্বাদের অভিজ্ঞতা

খেজুরের রসের টাটকা রস ও মিষ্টি সাধের অভিজ্ঞতা হলো শীতের সকালে কুয়াশা ছন্ন পরিবেশে সরাসরি গাছ থেকে নামানো সুমিষ্ট প্রাকৃতিক মিষ্টি রস পানির এক বিশেষ অনুভূতি । যা বাঙালি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক নৈকট্যের প্রতীক এই অভিজ্ঞতা ভোজন রসিকদের খুব প্রিয় এবং শীতকালীন গ্রাম বাংলার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ যেখানে শীতের শুরুতে গাছিরা গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে বিক্রি করেন এবং বিভিন্ন ব্যবহার হয় ।

কুয়াশা ভেজা শীতের সকালে খেজুরের রস আহ কি শান্তি

কুয়াশা ভেজা সকালে এক চুমুক  খেজুরের রস প্রাণকে সতেজ ও প্রাণবন্ত গড়ে তোলে শীতের শুরুতে যে টাটকা ও মিষ্টি খেজুরের রস পাওয়া যায় । তার স্বাদ অন্য সময়ের চেয়ে বেশি হয় এই রস পান করলে এক নতুন প্রাণচল অনুভূতি হয় । শীতের শুরুতে নানা বয়সী মানুষ এই টাটকা রস পান করতে ভিড় জমায় এবং এরশাদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যায় ।

কুয়াশা ঢাকা শীতের সকালের টাটকা এক গ্লাস খেজুরের রসের তুলনা হয় না এই মধু বৃক্ষ থেকে পাওয়ার রস কাঁচা ও জাল দিয়ে খেতে তেমন সুস্বাদু তেমনি রসের গুনাগুন এই অভিজ্ঞতা অনেকের কাছেই এক বিশেষ অনুভূতি হয়ে থাকে যা তারা বারবার ফিরে পেতে চান ।

খেজুরের রসের ঐতিহ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

খেজুরের রসের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শীতকালে খেজুর গাছ থেকে রস আহরণ করা হয় গ্রামের পরিবেশে এক আলাদা আকর্ষণ তৈরি করে কুয়াশা মরা সকালে দৃশ্য এবং খেজুরের রস দুটোই একে অপরের পরিপূরক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে   ।

কুয়াশা যেন প্রকৃতিকে খুব ভালোভাবে ঢেকে রেখে ছে এমন ভরে গাছীরা নিজের শরীরে চাঁদের মরিয়ে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে চারিদিকে তখনও পাখির কলা হল  কি মনোরো দৃশ্য সবাই যে যার মত করে চলে যায় রস নিয়ে আসার জন্য  ।

গাছ পরিষ্কার করা

পরিষ্কার কোনার বা পরিষ্কার প্রো নিন করার ব্যবহার করে মৃত ডালপালা কেটে ফেলুন । প্রতিটি কাটা ডাল-বলা কান্ড থেকে ১/২ থেকে ১ ইঞ্চি দূরে রাখা উচিত ৬০ শতাংশের কম হলুদ দাগ যুক্ত ডালপালা কাঁটা এড়িয়ে চলুন অতিরিক্ত ছাঁটাই নাক করার বিষয়ে সতর্ক থাকুন কারণ এটি আপনার হাতের তালুর ক্ষতি করতে পারে  ।বা আহত করতে পারে । একটি  ভালো নিয়ম হিসাবে ঘড়ির মুখের ওপর ৯ এবং ৩ এর নিচে ঝুলন্ত ডালপালা ছাটাই করুন ।

খেজুরের গাছ একবার থাকলে তিন থেকে চার দিন রস সংগ্রহ করা হয় এবং পরবর্তীতে তিন দিন শুকাতে হয়  ।এইভাবে কাটলে গাছের রস মিষ্টি হয় সাধারণত ডিসেম্বর হতে এপ্রিল মাসের মধ্যে বেশি হয়ে থাকে ।

গাছে হাঁড়ি বাঁধা এবং রস সংগ্রহ

খেজুর গাছের রস সংগ্রহের জন্য প্রথমে গাছ ছাড়ছে এরপর ছেড়া অংশে নল বসিয়ে মাটির হাড়ি বাধা হয় যা ফোটায় ফোটায় রস সংগ্রহ করে। শীতকালে বিশেষ করে ডিসেম্বর মাসের পর রস সংগ্রহ করা শুরু হয় এবং সাধারণত দুই দিনে দুইবার রস মেলে ভোরের রস কে জিরেন এবং বিকেলের রসকে ওলা বলা হয় ।

দক্ষ গাসিরা যারা রস সংগ্রহ করেন খেজুর গাছে উঠে গাছের কান্ড চার্চে বা ছেড়ে একটি নির্দিষ্ট অংশ পরিষ্কার করে ছেড়ে ছেচে নেওয়া স্থানে একটি নল বসানো হয় যার মাধ্যমে রস ফোটা ফোটা করে নিচের দিকে পড়তে থাকে নলের মুখে মাটির তৈরি হাড়ি বেঁধে দেওয়া হয় যেখানে ফোঁটায় ফোটায় রস জমা হয় জমে থাকা রস সংগ্রহ করা হয় সাধারণত ভোরে এবং বিকেলের রস আলাদাভাবে সংগ্রহ করা হয়

শীতকালে বিশেষ করে ডিসেম্বর মাসের পর থেকে শীতের শেষ পর্যন্ত প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস খেজুরের রস সংগ্রহ করা যায় শীতের আমেজ পেলেই খেজুরের রস পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে একটি গাছ থেকে দিনে দুইবার রস সংগ্রহ করা হয় ভোরের বেলায় সংগ্রহীত রসকে ভিলেন বলা হয় বিকেলের দিকে সংগ্রহীত রসকে ওলা বলা হয় ।

প্রকৃতির সাথে সংযোগ

খেজুরের রস শীতকালে বাংলার প্রকৃতির এক বিশেষ অংশ যা ঐতিহ্যবাহী গাছীদের মাধ্যমে শীতের শুরুতে খেজুর গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় এই মিষ্টি রস ভিটামিন খনিজ ও এন্টি অক্সিডেন্ট ভরপুর যা শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এটি বাংলার শীতকালীন উৎসব এবং সাংস্কৃতিক অবিচ্ছেদ্য অংশ যা গ্রাম বাংলার পরিবেশকে আরো মধুর করে তোলে ।

কুয়াশা ভেজা শীতের সকালে খেজুরের রস আহ কি শান্তি

প্রকৃতির আগমনী বার্তার সাথে সাথে খেজুর গাছের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি শুরু হয় যা শীতের এক অন্যতম পরিস্থিতি প্রতীক শীতকালে গাছীরা খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করেন যা বাংলার একটি বিশেষ দক্ষতা ও ঐতিহ্য ।

খেজুরের রস গ্রাম বাংলার সাংস্কৃতি ও উৎসবের সাথে গভীরভাবে জড়িত বিশেষ করে বিভিন্ন পিঠাপুলির তৈরি ও শীতের সকালে মুড়ি চিড়া খাওয়ার সাথে এর সংযোগ দেখা যায় শীতের সকালে কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো খেজুর পাতার ফাঁকে পড়া এবং গাছের সঙ্গে দৃশ্য প্রকৃতির এক সুন্দর রুপে ধরে তোলে ।

খেজুরের রসের পুষ্টিগুণ

খেজুরের রসে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ ভিটামিন ও শক্তি এনার্জি থাকে যা শীতের সকালে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে শীতের সকালে হাফসা আলোয় প্রকৃতি থাকে ভেজা এক চোখ খেজুরের রস পান কে করে চলছে শীত নানা রকম খাবার ফুল ফল সবজি ।

প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ হয় খেজুরের রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় শীতের দিনের শরীর গরম রাখে ফলে সর্দি কাশিতে হাত থেকে বাঁচায় ঘুরে আয়রন ভালো বেশি থাকে এবং হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে যারা শারীরিক দুর্বলতার ভোগেন কাজকর্মের জোর পান্না তারা খেজুরের রস খেতে পারেন ।

পুষ্টি উপাদানঃ

১। প্রাকৃতিক শর্করাঃ গ্লুকোজ এবং সুক্রোজ এর মতো প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা দ্রুত শক্তি যোগায় ।

২। প্রোটিন ও ফ্যাটঃ এতে সহজে হজম যজ্ঞ প্রোটিন ও ফ্যাক্ট থাকে ।

৩। খনিজ পদার্থঃ আইরন ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ থাকে যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে ।

৪। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ মস্তিষ্কের কোষকে বয়সের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে রক্ষা করে ।

৫। ফাইবারঃ চিনির শোষণকে ভিড় করতে সাহায্য করে ফলের রক্তে শর্করা মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে ।

উপকারিতাঃ

১।দ্রুত শক্তি বৃদ্ধিঃ প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় দ্রুত শক্তি যোগায় এবং ক্লান্তি দূর করে ।

২। হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ ফাইবার ও সহজ পাত্র উপাদানের কারণে হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ।

৩। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি মস্তিষ্কের কোসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।

৪। হাড় মজবুত করেঃ ক্যালসিয়ামের মত খনিজ হারকে মজবুত করতে সহায়ক ।

কারা এড়িয়ে চলবেনঃ

যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের খেজুরের রস বা গুড় খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে ।

শেষ কথা

কুয়াশা ভেজা শীতের সকালে খেজুরের রসের গুরুত্ব উপরের আলোচনায় মোটামুটি ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি আশা করি সবাই বুঝতে পারবেন উপরের আলোচনা থেকে খেজুরের রস নিয়ে কোন নির্দিষ্ট কথা খুঁজে পাওয়া যায় না তবে শীতের সকালে গাছিদের বাড়িতে বাড়িতে হাগড াক খেজুর রস ও পিঠার ঐতিহ্য এবং রস সংগ্রহের দীর্ঘ ও কঠিন প্রক্রিয়ার কথা অনেক লেখক ও সাংবাদিক তাদের লেখায় উল্লেখ করেছেন যা এর রস এর গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তাকে তুলে ধরে ।

খেজুরের রস শীতের পিঠা বিশেষ করে ভাপা পিঠার সঙ্গে জড়িত এই বিষয়টি অনেক লেখায় উঠে এসেছে খেজুরের রস সংগ্রহ করা যে একটি সহজ কাজ নয় বরং একটি দীর্ঘ অষ্টম সাধ্য প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ।









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url