কাউন চালের উপকারিতা ও অপকারিতা

কাউন চালের অনেক উপকারিতা রয়েছে, যেমন হজম শক্তির উন্নতি, ওজন নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টরেল কমানো এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করা। তবে এর অপকারিতা সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না, কারণ এটি একটি স্বাস্থ্যকর শস্য।

কাউন চালের উপকারিতা ও অপকারিতা

কারণ একটি জাদুকরি বা সুপার ফুড শস্য। অত্যন্ত পুষ্টিকর এ সুপার ফুড টি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এবং স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের পছন্দের খাদ্য তালিকায় বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। 

আরো  পড়ুনঃ  চুলের যত্নে মেহেদি পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা

সূচিপত্রঃ কাউন চালের উপকারিতা ও অপকারিতা 

কাউন বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন থিনাই, কাঙ্গনি, কোররালু, এবং কাকুম। কাউনের বৈজ্ঞানিক নাম setara italica .কাউন চাল in English বা ইংরেজিতে একে ফক্স টেইল Foxtail millet বলে‌ কারণ শতাব্দীর পর শতাব্দি ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাষ করা হয়। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। এটি লৌহ বা আয়রন ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম এবং জিন্স এর মত প্রয়োজনীয় খনিজ সমৃদ্ধ। 

আমাদের পূর্বপুরুষরা কেমন চালের উপকারিতা কথা না যেন বহু প্রাচীনকাল থেকে তা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করতেন। অবাক করা তথ্য হলো একটি সাম্প্রতিক জরিপ থেকে জানা যায় প্রায় এক থেকে দুই বিলিয়ন মানুষ তাদের খাদ্যের অংশ হিসেবে কারণ গ্রহণ করে থাকেন। কিনোয়ার আর মতোই কারন চাউলের একটি সহজ বিকল্প।

চলুন কাওনের অসাধারণ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়ে এবং বোঝার চেষ্টা করি কেন এই অসাধারণ খাদ্যশস্যটি সাম্প্রতিক সময়ে বড় বড় পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

কাউন কোথায় চাষ হয়

কারণ একটি সহনশীল ফসল যা বিভিন্ন আবহাওয়া এবং মাটিতে জন্মাতে পারে, তবে এটি সাধারণত আদা শুষ্ক অঞ্চলে বা বেলে মাটিতে চাষ হয়। বিশেষ করে যেখানে অন্যান্য ফসলের বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না সেখানে কারণ ভালো চাষ হয়। 

কারন প্রায় সারা বিশ্ব জুড়েই চাষ হয়। বিশেষত এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশ চাষ করা হয়। 

তবে এটি চিন, রাশিয়া, আফ্রিকা এবং ভারতের কিছু অংশে খুব ভালো চাষ হয়। ধারণা করা হয়, প্রায় চার হাজার বছর আগে আফ্রিকা থেকে কাউন চীনের প্রত্নতান্ত্রিক স্থানগুলোতে চাষ শুরু হয়। পরে এটি আমাদের উপমহাদেশ সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। 

কাউন্ট চাষ পদ্ধতি জটিল না হলেও বাংলাদেশ এর উত্তর অঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে এর চাষ হয়ে থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এর প্রায় সকল জেলায় কাউন্ট চাষ হয়ে থাকে। 

আয়ুর্বেদের কাউনের গুরুত্ব

আয়ুর্বেদে গাউনের অন্যান্য মিলেটসকে বলা হয়। ত্রিণধান্য,বা কুধান্য। ১৪ শতকে বিখ্যাত সুনেনা রচিত প্রাচীন আয়ুর্বেদিক গ্রন্থ মোহদধি, তে কাউন এর গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে। এই গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে কাউল মিষ্টি ও কষা যুক্ত ছাদের হয়। আয়ুর্বেদের ভাষায় কান ভাত ১০ বাড়ায় কিন্তু পিত্ত কফ এবং রক্তের সঙ্গে সম্পর্কিত দোষগুলিকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

কাউনের পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে এটি অবশ্যই ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া প্রয়োজন। তবে আয়ুর্বেদের মতে কাউন কখনোই দুধের সঙ্গে মেশানো উচিত নয়। কারণ তা মারাত্মক হজমের কার সমস্যার কারণ হতে পারে। 

কাউন চাউলের উপকারিতা 

কারণ চাউলের উপকারিতা অনেক। নিম্নে কাউন্ট চাউলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরা হলো: 

হার্ড এর জন্য কেমন ভালোঃ 

আমাদের শরীর সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনা যদি হার্ট সুস্থ না থাকে। একি শুধু রূপক অর্থ নয়, বাস্তব অর্থেও সত্যি। হার্ড আমাদের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

ভারতের ফুট সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে। টাউন হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি নিউরো ট্রান্সমিটার এসিটাইল কলি তে সাহায্য করে। যা পেশী ও স্নায়ুর মধ্যে বার্তা বা সিগন্যাল স্থান তরে সহায়তা করে। সেই সাথে আমাদের হাটকে বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখে। 

কাউন ভিটামিন বি ১২ পটাশিয়াম এবং প্রোটিনের সমৃদ্ধ হলেও শর্করা পরিমাণ অনেক কম। হার্টকে সুস্থ রাখতে এটি খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। 
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী কাউন্ট হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় অনেক উপকারী। কারণে থাকা উচ্চমাত্রারই ফাইবার ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, দারিদ্র রোগের ঝুকি হ্রাস করে।

এছাড়াও পাওনে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তবে আজকের দিনে হার্টের সমস্যা একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি এর মূল কারণ হলো ভাজাপোড়া ও জাঙ্ক ফুড গ্রহণ। কাজের চাপ অলস জীবনযাপন এবং অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর ও আনহেলদি লাইফস্টাইল। 

হার্ট সুরক্ষিত ক্ষার কয়েকটি উপায়ঃ 

১। পর্যাপ্ত ঘুম এবং পানিও গ্রহণ। 
২। উচ্চ পুষ্টি ও ফাইবার যুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। 
৩। নিয়মিত শরীর চর্চা করা। 
৪‌। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা। 
৫। কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করা। 
৬। মানসিক চাপমুক্ত জীবন যাপন করা। 
৭। সঠিক ডায়েট নির্বাচন করতে পারা। 

কাউন এর পুষ্টিগুণ


কাউন আইরন ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস এবং ভিটামিন বি এর মত প্রয়োজনও পুষ্টিগুণে ভর পরিপূর্ণ। তাই কারণ আপনার শরীলকে প্রশ্ন করতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। এক কাপ রান্না করা কাউন আপনার হারকে মজবুত করতে শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন এবং সামগ্রিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অন্যান্য ভূমিকা রাখে। 
কাউন চালের উপকারিতা ও অপকারিতা

কাউনের ১০০ গ্রামের পুষ্টিগণ নিম্নরূপঃ 

উপাদান।                                মান (প্রতি ১০০ গ্রাম)

              এনার্জি ও পুষ্টি উপাদান

           এনার্জি।                         ৩৩১ কি: ক্যালরি 
           খাদ্যআঁশ।                      ৮ গ্রাম 
           চর্বি                                  ৪.৩ গ্রাম 
           প্রোটিন                           ১২ .৩ গ্রাম 
           কার্বোহাইড্রেট।               ৬৩.২ গ্রাম 
           আশ                                ৬.৭ গ্রাম 
           চিনি।                                ০.২ গ্রাম 

কাউন চাউলের অপকারিতা

কারণ চাউলের উপকারিতা অনেক হলেও এর কিছু অপকারিতা আছে। শরীরে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। তাই কেমন গ্রহণের আগে সতর্ক হওয়া জরুরী। 

কাউনে এলার্জি হতে পারেঃ 

যদি কারণ গ্রহণের পর আপনার নিচের লক্ষণগুলো দেখা দেয়: 
১‌। চুলকানি বা গলা খুসখুস করে 
২। শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় 
৩। শরীর ফুলে যায় 

তাহলে অবিলম্বে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। এটি আপনার শরীরের জন্য কেমন প্রতিজ্ঞা করে তা জানার জন্য গ্রহণের আগে একটি প্যাচ টেস্ট করে নিন।

থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কারণ গ্রহণের সতর্ক হোনঃ 

কাউনে গইটোজেন বা গাইডোজেন নামে এক ধরনের যোগ রয়েছে। যা থাইরয়েড কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি গাঁয়েটার সৃষ্টি করতে পারে এবং শুকনো ত্বক উদ্বেগ এবং ধীর চিন্তার মত উপসর্গ তৈরি করতে পারে। তাই যারা থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন তাদের এটি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় যোগ করার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিবেন। 

কাউন গ্রহনের কিডনিতে পাথর হতে পারেঃ 

কাউনে থাকা অক্সালেট কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। তাই এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। যদি অস্বাভাবিক উপসর্গ বা পেটের নিচের দিকে ব্যথা অনুভব হয়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। 

এছাড়াও কাউন খেলে যা যা হতে পারেঃ 

১। কাউন অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে বেলচিং বা উদগীরণ গ্যাস বা অজীর্ণতার সমস্যা হতে পারে। 
২। আয়ুর্বেদ মতে কাউন কখনো দুধের সাথে রান্না করা উচিত নয়, কারণ এটি গুরুতর বদহজম এবং ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।
৩। অতিরিক্ত কারণ গ্রহণ করলে গুরুতর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। 

তবে কাবুলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমানোর জন্য স্প্রাউটিং বা অনুকরিত কাউন খেলে খাওনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেকটাই কমানো যায়। আপনি এটি নিজেও অঙ্কুরিত করতে পারেন। এজন্য ভেজানো কাউন্স একটি কাছের জারে রাখুন, এবং একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে রাবার ব্যান্ডের সাহায্যে আটকে ঢেকে রাখুন। 

ডার্টি উল্টো করে দিন, প্রতি ৮ থেকে ১২ ঘন্টা পর পর কাউন ধুয়ে ফেলুন। আপনি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ছোট খাওনের অঙ্কুর দেখতে পাবেন। অংকুর গুলি পরিষ্কার করে ছেকে সঙ্গে সঙ্গে উপভোগ করুন।

গর্ভাবস্থায় কাউনের চাল

কাউকে গর্ভবতী মায়েদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ সুপারফুট। এটি উচ্চ ফাইবারযুক্ত পূজা হজম প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক রাখে এবং গর্ভাবস্থায় সাধারণ সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

কাউন ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভালো উৎস যা প্রতি ১০০ গ্রামে ৮১ মিলিগ্রাম থাকে। যার স্বাস্থ্যকর হার বজায় রাখার পাশাপাশি, গর্ভাবস্থায় হওয়া খিচুনি বা একলামসিয়া প্রি ট্রাম ব্যর্থ এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

এছাড়াও কাউনের উচ্চ পরিমাণে আয়রন, বি ভিটামিন এবং ফলিক এসিড ও আছে। যার ড্রোনের সঠিক বিকাশের সহায়ক। এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকার ভূমিকা রাখে। গর্ভবতী মায়েরা এটি তাদের খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন বিভিন্ন পদ্ধতিতে যেমন: 

১। পায়েস 
২। স্প্রাউট বা অঙ্কুরিত করে 
৩। অথবা ভাতের বিকল্প হিসেবে 

এর পুষ্টিগুণ এর কারনে এটি মাতৃ ও ব্রণের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী ‌। এটি কম লাইসেমিক সূচকধারী খাবার বলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকা মায়েদের জন্য এটি উপযুক্ত খাবার। 

তবে মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় যে কোন খাদ্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আপনার ডায়েটে পরিবর্তন আনার আগে সব সময় একটি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী বা পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করা সবচেয়ে ভালো।

কাউন চালের উপকারিতা সম্পর্কিত কিছু F,A,Q

১। কাউন কি প্রতিদিন খাওয়া যায় 
২। কাউন কি কি পুষ্টি উপাদানে থাকে 
৩। ডায়াবেটিসের জন্য কারণ এর উপকারিতা কি 
৪। ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাবার খেলে কি হয় 
৫। ত্বকের জন্য খাওনের উপকারিতা কি 
৬। কাউনের পুষ্টিগুণ কি 
৭। কাউন কি সহজে হজম হয় 
৮। কাউন কি ভাতের চেয়ে ভালো 
৯। গর্ভবতী মহিলাদের ডায়েটে একাউন্ট অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে কি 
১০। আয়ুর্বেদের কোন ধরনের কাউন সবচেয়ে ভালো 

শেষ কথা

কারণ চাল বা kaum rich অনেক ভালো মানের খাদ্য এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি সুষম খাদ্যের আদর্শ উদাহরণ হওয়ার পাশাপাশি একটি টেকসই ফসল বটে। কাউন চাষ করতে কোম্পানির প্রয়োজন, ফলে এটি পানি সাশ্রয়ী এবং ভোক্তা ৮৫ দের জন্য পরিবেশ বান্ধব বিকল্প ফসল। 

প্রাচীন কাল থেকে আমাদের দেশে খাওনের চাউলের ভাত খাওনের চালের পায়েস ও বিভিন্ন কারনের চালের রেসিপি বেশ জনপ্রিয়। তাই আসুন কাউন্টারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়ার পরে জাঙ্ক ফুড এর জগত পরিহার করি। আসুন নীরব ও দীর্ঘ জীবন লাভের চেষ্টায় ভাল খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা করি। 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url