জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা গর্ভাবস্থায় জল পায়ের উপকারিতা
জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা গর্ভাবস্থায় জলপাইয়ের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। আজকে আর্টিকেল থেকে আপনারা জলপাইয়ের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
জলপাই এ এর প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যার কারণে জলপাইয়ের উপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় জলপাইয়ের উপকারিতা অনেক। তাই যারা জলপাই সম্পর্কে জানেন না তারা আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে জলপাইয়ের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম
পেজ সূচিপত্রঃ জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা
জলপাইয়ের উপকারিতা
জলপাইয়ে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যার কারণে জলপাইয়ের উপকারিতা
অনেক। জলপাই একটি স্বাস্থ্যকর এবং শরীরের জন্য অনেক উপকারী ফল। জলপাইয়ের প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যার শরীর সুস্থ
রাখতে অনেকটাই সহায়ক। চলুন তাহলে জেনে নেই জলপাইয়ের উপকারিতা গুলো কি কি
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: জলপাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
সাহায্য করে। জলপাইয়ের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম
হচ্ছে ভিটামিন সি যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। তাই নিয়মিত
জলপাই খেলে আপনাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং যেকোনো সংক্রামক
প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
২। ক্যান্সার প্রতিরোধের সহায়ক: জলপাইয়ে রয়েছে ভিটামিন সি এবং
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এই উপাদান গুলো
দেহের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে এবং ক্ষতিকর কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।
হলে সহজেই ক্যান্সার রোগ আক্রমণ করতে পারে না। বিশেষ করে সিস্টেম কলম এবং
পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে জলপাই অনেক উপকারী।
৩। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা: জলপাইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা
পাকস্থলী তন্ত্রের জন্য অনেক উপকারী। ফাইবারের কারণে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ফলে
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। জলপাই খেলে পাকস্থলীর সুস্থতা
বজায় থাকে এবং গ্যাস্ট্রিক, আলসার প্রতিরোধ সাহায্য করে থাকে।
৪। ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাই: ত্বক ও চুলের যত্নের জন্য জল পাই বেশ উপকার।
জলপাইয়ে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড যা ত্বক ও চুলের যত্নে খুবই
ভালো কাজ করে। জলপাইয়ে থাকা ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ ত্বকের মসৃণতা এবং ত্বকের
গঠনকে মজবুত করে। তাই চুল ভালো রাখার জন্য নিয়মিত জলপাই খেতে পারেন।
৫। চোখের যত্নে: জলপাইয়ের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। আর ভিটামিন এ চোখের
জন্য অনেক উপকারী। তাই আপনারা নিয়মিত জলপাই খেতে পারলে ভিটামিনের চাহিদা অনেকটা
পূরণ হয়ে যাবে ফলে আপনাদের চোখের অনেক উপকার হবে।
৬। ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়ক: জলপাই হচ্ছে কম ক্যালরিযুক্ত ফল। এটি খেলে শরীরের
সহজে চর্বি জমতে পারে না। জলপাই খেলে খোদা কম লাগে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে।
যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়ক। তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন তারা
নিয়মিত জলপাই খেতে পারেন।
৭। স্বাস্থ্যের উন্নতি: জলপাইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা
মস্তিষ্কের কোষের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
জলপাই প্রতিনিয়ত খেলে শরীরে অনেক পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়ে যায় এবং স্মৃতিশক্তি
বৃদ্ধি পায়। যার ফলে শরীর অনেক সুস্থ থাকে এবং শরীরের সহজে কোন রোগ বাসা বাড়তে
পারে না।
৮। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা একবার হলে
সহজেই দূর করা যায় না। এ রোগটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে বৃদ্ধি করে। জলপাইয়ে
থাকা ফাইবার এবং মনসা চড়েটেড ফ্যাট রক্তের সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি
ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিসের জটিলতা প্রতিরোধ ও সহায়তা
করে।
৯। পিত্তথলিতে পাথর হওয়া: পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার একটা সাধারন সমস্যা এটি
পেটব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সৃষ্টি করতে পারে। জলপাই পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার
প্রবণতা কমিয়ে দেয় এবং পিত্তরসের স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখে। পিত্তথলিতে পাথর
জমার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ
আরো পড়ুনঃ
কাঁচা বাদামের চাহিদা এবং উপকারিতা ও অপকারিতা
জলপাই ফলের পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক যা প্রতিটি ফলপ্রেমী মানুষের ওই জানা অনেক
জরুরী। কেননা নানান ধরনের পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এই জলপাই ফল। জলপাই একটা পরিচিত
ফল। জলপাই ফল অনেকে পছন্দ করেন আবার অনেকে করেন না। জলপাই প্রত্যেকরে খাওয়া উচিত
কেননা জল পায়ে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক
জলপাইয়ের মধ্যে থাকা পোস্টে উপাদান সমূহ।
প্রতি ১০০ গ্রাম জলপাই এর মধ্যে যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা
হলঃ
খাদ্য শক্তি ১৪৬ কিলো ক্যালরি
শর্করা ৩.৮৪ গ্রাম
আমিষ ১.০৩ গ্রাম
চর্বি ১৫.৩ দুই গ্রাম
খাদ্য আঁশ ৩.৩ গ্রাম
চিনি ০.৫৪ শূণ্য গ্রাম
ভিটামিন এ ২০ আই ইউ
বেটা ক্যারোটিন ২৩১ আই ইউ
রিবোফ্লাবিন ০.০০৭ মিলিগ্রাম
থায়ামিন ০.০২১
নিউ ওসিন ০.২৩৭ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি ৬ ০.০৩১ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৪২ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম ৫২ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৪ মিলিগ্রাম
জলপাইয়ের পরিচিতি
জলপাই একটি গ্রীষ্মকালীন টক ফল। জলপাই সিলন অলিভ নামেও পরিচিত। জলপাইয়ের গাছ
সাধারণত ১০ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঘটতে পারে। জলপাই ভারতীয় উপমহাদেশে,
বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এই ফলটি উৎপাদিত
হয়। এই ফলটি সাধারণত শীতকালে পাওয়া যায়। জলপাইয়ের একটি বৈজ্ঞানিক নাম রয়েছে।
আর এর বৈজ্ঞানিক নাম হল: (Elaeocarpus serratus).
গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অনেক ভয় থাকে যে কোনটা খাওয়া যাবে কোনটা খাওয়া যাবেনা,
এমনি অনেকে অনেক চিন্তিত থাকেন। এই নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে, জলপাই
খাওয়া যাবে কিনা জলপাই খেলে কোন ক্ষতি হবে কিনা। গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়া
যাবে। গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার জলপাই খাওয়া নিরাপদ এবং উপকারী। কেননা
জলপাইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা একজন গর্ভবতী মহিলার এবং গর্ভে
থাকা শিশুর বিকাশের জন্য অনেক উপকারী। জলপাই থাকা স্বাস্থ্যকর ভ্যাট শিশুর
মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য সহায়ক এবং আয়রনের স্বল্পতা পূরণেও সহায়ক।
জলপাইয়ের তেলের উপকারিতা
খুব কম সংখ্যক মানুষই রয়েছেন যারা জলপাই তেল সম্পর্কে জানেন না। জলপাইয়ের তেল
আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। যারা ওজন কমাতে আগ্রহী তারা জলপাইয়ের তেল
রান্না করে খেতে পারেন। আবার শরীরেও ব্যবহার করতে পারেন। ওজন কমানোর জন্য এবং
শরীরে ব্যবহারের জন্য বিশেষজ্ঞরা জলপাই তেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। জলপাই
তেলের বেশ কিছু উপকারি দিক রয়েছে চলুন সেগুলো জেনে নেয়া যাক।
১। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা যাদের রয়েছে তারা জল পায়ের তেল বা অলিভ অয়েল খেতে
পারেন। এতে হজম শক্তি বাড়ায় এবং পাশাপাশি পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তাই
কষ্ট কাঠিন্য এর সমস্যা দূর করতে আপনি জলপাই তেল খেতে এবং ব্যবহার করতে
পারেন।
২। আপনারা যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই রান্নায় অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের
তেল ব্যবহার করুন। জলপাই তেল শরীরে অধিক সক্রিয়ভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেবে এবং
পাশাপাশি দেহে ভাল কোলেস্টরেল জোগাতে সাহায্য করবে।
৩। জলপাই তেলে রয়েছে ভিটামিন ই। জলপাইয়ের তেল ত্বক, চুল, ও নখের সুরক্ষা দিয়ে
থাকে। জলপাই তেল ব্যবহার করে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে আপনার ত্বক অনেক সুন্দর এবং
তাদের বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ত্বক গোসলের যত্নে নিয়মিত জলপাই তেল ব্যবহার করলে অনেক
উপকার পাবেন।
জলপাইয়ের আচারের রেসিপি
জলপাইয়ের আচার অনেক মজাদার। বিভিন্ন রকমের আচারের মধ্যে জলপাইয়ের আচার অন্যতম।
জলপাইর কাঁচা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি জলপাই দিয়ে তৈরি টক ঝাল মিষ্টি আচারও
খেতেও খুব সুস্বাদু এবং মজাদার। যারা বেশি টক ঝাল পছন্দ করেন তাদের জন্য
জলপাইয়ের আচার পারফেক্ট। আচারটি ছোট বড় সকলেই খেতে পারবেন। জলপাইয়ের আচার সাজে
যেমন লোভনীয় তেমনি এর উপকারিতা অনেক।
জলপাইয়ের আচার তৈরির উপকরণ সমূহ
জলপাইয়ের আচার তৈরি করতে যেসব উপকরণগুলো প্রয়োজন হয় সেগুলো হল জলপাই, সরিষার
তেল, লবণ, গুড়া মরিচ, পাঁচফোড়ন, হলুদের গুঁড়া, শুকনা লাল মরিচ, ধনিয়া, বিট
লবণ, শুকনো মরিচ। রসুন, তেজপাতা, দারচিনি, কালোজিরা, আস্তমরি, এইসব উপকরণগুলো
আচার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
আচার তৈরীর প্রণালী
প্রথমেই জলপাইগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর জলপাই গুলোকে
সিদ্ধ করে নিতে হবে। সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে জলপাইগুড়ি
কবি ভেঙে নিতে হবে।
এরপর আসতো মসলাগুলোকে গরম করে নিতে হবে। তবে সব মসলা একসাথে দেয়া যাবে না। যেন
সব মসলাগুলো কিছুতেই বেশি ভাজা না হয়ে যায় তাহলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এরপর ভাজা মসলা গুলো পাটাই বেটে গুড়া করে নিতে হবে।
এবার একটি প্যানে তেল গরম করে তেজপাতা, দারচিনি দিয়ে সাথে রসুন কুচি দিয়ে নেড়ে
নিতে হবে। মিডিয়াম আছে রান্না করতে হবে। রসুন কুচি গুলো হালকা বাদামি আকার ধারণ
করলে জলপাইগুড়ি দিয়ে দিতে হবে। তারপর লবণ, ও চিনি, ভিনেগার, গুঁড়ো মসলা সবগুলো
দিয়ে দিতে হবে। এরপর আষাঢ়ের পানিটা শুকিয়ে গেলে নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর
আগে অবশ্যই লবণ চিনি একটু টেস্ট করে নেবেন। ভালো হয়েছে কিনা। হয়ে গেল জলপাইয়ের
আচার।
জলপাইয়ের আচার সংরক্ষণ পদ্ধতি
১। আচার সংরক্ষণের জন্য একটি কাছের ব্যায়াম অথবা প্লাস্টিকের বয়াম লাগবে।
বয়ামের মধ্যে আসার ভালো থাকে।
২। আচার সংরক্ষণের জন্য প্রথমে একটা বয়ান ঠিক করুন।
৩। বয়ামের মুখ ঠিকঠাক লাগানো হয় কিনা বন্ধ করা যায় কিনা এটি দেখুন কারণ
বয়ামের মুখ ঠিকঠাক বন্ধ না করা গেলে আচার নষ্ট হয়ে যাবে।
৪। নোংরা হাত অথবা আঙ্গুল দিয়ে আচার তুললে, আষাঢ় নষ্ট হয়ে যায় এজন্য একটি
শুকনো চামচ ব্যবহার করতে হবে।
৫। আচার তুলতে ভেজা চামুচ ব্যবহার করলে আচার নষ্ট হয়ে যায়, এজন্য শুকনো চামচ
ব্যবহার করতে হবে।
৬। আচার ফ্রিজ এ সংরক্ষণ করা যায়। আপনি চাইলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে
পারেন।
জলপাই এর অপকারিতা
জলপাইয়ের নির্দিষ্ট কোন অপকারিতা নেই, তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিছু সমস্যা
হতে পারে। অতিরিক্ত জলপাই খেলে উচ্চ ক্যালরি এবং ফ্যাট গ্রহণের কারণে ওজন বৃদ্ধি
পেতে পারে। এছাড়াও এতে থাকার সোডিয়াম বিশেষ করে আচার বা প্রক্রিয়াজাত জলপাইয়ে
অতিরিক্ত সেবনে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সম্ভাব্য অপকারিতা:
১। জলপাইয়ের ক্যালরি এবং ফ্যাট থাকে, তাই অতিরিক্ত জলপাই খেলে ওজন বাড়তে
পারে।
২। প্রক্রিয়াজাত বা আচারের জলপাইয়ে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে, যা অতিরিক্ত
গ্রহণে উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে।
৩। কিছু মানুষের জলপাই বা জলপাইয়ের তেলে এলার্জি থাকতে পারে।
৪। অতিরিক্ত পরিমাণে জলপাই খেলে কিছু মানুষের গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যা হতে
পারে।
৫। জলপাইয়ের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে এসিড থাকে, অতিরিক্ত গ্রহণে কিছু মানুষের
জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
সতর্কতা:
১।সীমিত পরিমানে জলপাই খান
২।আশার বা প্রক্রিয়াজাত জলপাই খাওয়ার সময় সোডিয়ামের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন
থাকুন।
৩।যদি আপনার কোন এলার্জি বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, তাহলে জলপাই
খাওয়ার আগে চিকিৎসার পরামর্শ নিন।
জলপাই খাওয়ার নিয়ম
জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক জলপাইয়ের প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান
রয়েছে। তাই বলে জলপাই যেকোনো সময় যেকোনো পরিমাণে খাওয়া যাবে না। জলপাই খাওয়ার
কিছু নিয়ম এবং পদ্ধতি মেনে জলপাই খেলে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। নিয়ম
মেনে না খেলে আপনার শরীরে অনেক ক্ষতি হতে পারে। আপনার শ
রীরে যদি কোন শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিয়ে জলপাই খাওয়া উচিত।
জলপাই খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে জলপাই খাওয়ার সঠিক পরিমাণটি নির্ণয় করতে হবে। তা
না হলে আপনি বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া সহজ শরীরের যে কোন সমস্যা হতে
পারে। তো প্রতিদিন আপনি 5 থেকে 10 টি জলপাই খেতে পারেন। এসে খাওয়া উচিত নয় যারা
গর্ব অবস্থায় জলপাই খাবেন তারা অবশ্যই চিকিৎসরের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।
তাছাড়া আপনি যদি বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার শরীরে অনেক ক্ষতি হতে
পারে।
জলপাই বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। এক এক জন মানুষ একেক রকম ভাবে জলপাই খেয়ে থাকেন।
কেউ কেউ জলপাই কাঁচা লবণ দিয়ে খেয়ে থাকে, কেউ কেউ জল রান্না করে বিভিন্ন
তরকারির সাথে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন, আবার কেউ আষাঢ় করে খেয়ে থাকেন। জলপাই
তরকারির সাথে রান্না করে খেলে এর স্বাদ অনেক ভালো এবং পুষ্টি পাওয়া যায়। তবে
জলপাই বেশিরভাগ মানুষ আসার খেয়ে থাকেন। কেননা জলপাইয়ের আচার সবচেয়ে বেশি
সুস্বাদু এবং মজাদার হয়। তবে যারা ডায়েট কন্ট্রোল করছেন তাদের ক্ষেত্রে
জলপাইয়ের নিয়ম করে খাওয়া উচিত।
আরো পড়ুনঃ চুল পড়া বন্ধে আমলকি তেলের উপকারিতা
শেষ কথা
আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পেরেছেন জলপাইয়ের উপকারিতা
ও অপকারিতা গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। জলপাই যেকোনো বয়সের
মানুষের খেতে পারেন। তবে যারা গর্ভবতী রয়েছে তারা একটু পরিমান মত খেতে হবে না
হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। জলপাই ভিটামিন সি রয়েছে যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাই আপনারা চাইলে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় জলপাই রাখতে পারেন।
এটা আপনাদের শরীরে অনেক উপকার হবে।
আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার এই ওয়েবসাইটের
নিয়মিত ভিজিট করবেন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর্টিকেল সম্পর্কিত কোন
প্রশ্ন থেকে থাকলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

.webp)
.webp)
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url