চুলের যত্নে মেহেদি পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা
চুলের পরিচর্যায় বেশ জনপ্রিয় মেহেদী পাতা। যেসব উপাদান চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়,
সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই উপাদান। অন্যান্য রাসায়নিক রং যেখানে চুলকে শুষ্ক
ও প্রাণহীন করে দেয়। আরো উজ্জ্বল ও রঙিন।
মেহেদি পাতা চুল রং করার পাশাপাশি চুল ঘন করতে এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো
রাখত কাজ করে। খুশকি, রুক্ষতা, শুষ্কতা, অকালপক্কতা ইত্যাদির সমাধান করা সম্ভব
প্রাকৃতিক উপাদান মেহেদী দিয়ে।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে মেহেদি পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা
পেজ সূচিপত্রঃচলুন জেনে নেয়া যাক চুলে মেহেদী ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে
- মেহেদী পাতা ব্যবহারের উপকারিতা
- চুলের যত্নে কাঁচা মেহেদি পাতার ব্যবহার
- চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে মেহেদি পাতার গুরুত্ব
- চুলের যত্নে মেহেদি পাতার কার্যকারী ভূমিকা
- পুতুলের গোড়া শক্ত ও চুল পরা বন্ধ করতে মেহেদি পাতার উপকারিতা
- মেহেদি পাতার রস খেলে কি হয়
- কালো চুলে মেহেদি পাতা দিলে কি হয়
- চুলের যত্নে মেহেদি ও ডিম
- চুলে মেহেদি লাগিয়ে কতক্ষণ রাখা উচিত
- শেষ কথা
মেহেদি পাতার ব্যবহারের উপকারিতা
চুলের যত্নে মেহেদি পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা অনেক। এটি চুলকে ঘন মজবুত ও মসৃণ
করে। খুশকি ও চুলকানি দূর করে, আগা ফাটা রোধ করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে চুল
পড়া কমায়। এটি একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে।
মেহেদি পাতার উপকারিতা
১। চুল পড়া রোধ; মেহেদি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া সমস্যা কমায়
২। খুশকি দূর করে: এর অ্যান্টির ফাঙ্গাল ও আন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী খুশকি ও
চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে।
৩। চুলকে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে: মেহেদী চুলকে নরম মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে যা একে
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করতে সাহায্য করে।
৪। আগা ফাটা রোধ: এটি চুলের আগা ফাটার সমস্যা প্রতিরোধ করে।
৫। মাথার টক সুস্থ রাখে: মেহেদী মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং
স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
৬। ফুলকে ঘন করে ও প্রাকৃতিক রং: নিয়মিত ব্যবহারে ফুলের ঘনত্ব বাড়ে। মেহেদী
এটির রাসায়নিক রঙের বিকল্প হিসেবে সাদা চুল ঢাকতে এবং চুলের প্রাকৃতিক রং ও
উজ্জ্বলতা যোগ করতে পারে।
ব্যবহারের কিছু পদ্ধতিঃ
১। হেয়ার প্যাক: মেহেদী গুড়োর সাথে দই, লেবুর রস, ডিম্বা অলিভ অয়েলের মত
উপাদান মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগানো যেতে পারে।
২। মেহেদী তেল: সরিষার তেলের সাথে মেহেদি পাতা ফুটিয়ে একটি তেল তৈরি করে ব্যবহার
করা যেতে পারে যা চুল পড়া কমায়।
৩। সঠিক সময়: সাধারণত এক থেকে তিন ঘন্টা বা গারো রংয়ের জন্য চার ঘন্টা পর্যন্ত
মেহেদী খুলে রাখা যেতে পারে। তবে পাঁচ ঘন্টার বেশি রাখা উচিত নয় কারণ এতে চুল
শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কাউন চালের উপকারিতা ও অপকারিতা
চুলের যত্নে কাঁচা মেহেদি পাতার ব্যবহার
চুলের যত্নে কাঁচা মেহেদি পাতার ব্যবহার খুবই উপকারী। কারণ এটি চুলকে মজবুত ঘন
এবং উজ্জ্বল করে তোলে। মেহেদী খুশকি ও চুলকানি দূর করতে চুল পড়া রোধ করতে এবং
চুলকে মসৃণ করতে সাহায্য করে। মেহেদি পাতার সাথে ডিম অলিভ অয়েল বা মেথি মিশিয়ে
একটি প্যাক তৈরি করে সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার ব্যবহার করা যেতে পারে।
কাঁচা মেহেদি পাতা বেটে তার সাথে ডিমের সাদা অংশ, অলিভ অয়েল বা গুড়ো করা মেথি
মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলের গোড়া থেকে আদা পর্যন্ত
ভালোভাবে লাগান। প্রায় এক ঘন্টা বা তার বেশি সময় তবে পাঁচ ঘন্টার বেশি নয় তুলে
রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন
চুল পড়া বেশি হলে সপ্তাহে একবার বা দুবার এবং কম হলে ১৫ দিনে একবার ব্যবহার করা
যেতে পারে। মেহেদি গুঁড়ো ব্যবহার করলে গুড়টি নরম দলের সাথে মিশিয়ে গরম জলের
সাথে মিশিয়ে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা রেখে দিন এবং রঞ্জক পদার্থ বের হলে ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য দই, ডিম বা অ্যালোভেরা যোগ করতে পারেন।
মেহেদি লাগানোর পর অতিরিক্ত শুকনো হওয়া থেকে বাঁচতে দীর্ঘ সময় ধরে তুলে রাখা
উচিত নয়।
চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে মেহেদি পাতার গুরুত্ব
চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে মেহেদি পাতা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান, কারণ এটি
চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া কমায় এবং নতুন চুল বাজাতে সাহায্য করে।
এটি মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে, খুশকি দূর করে এবং চুলের দক্ষতা দূর করে প্রাকৃতিক
কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
মেহেদি পাতায় থাকা ওরসিটি গুণাবলী চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পড়া কমাতে
সাহায্য করে। এটি চুলের বৃদ্ধিতে ত্বরান্বিত করে। মেহেদী প্রাকৃতিক কন্ডিশনার
হিসেবে কাজ করে চুলকে নরম ওসদ স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে তোলে। এটি মাথার ত্বকের পিএ
ইচ ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ত্বকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে, যা চুল ঘন করার জন্য
অপরিহার্য। মেহেদি খুশকি নিয়ন্ত্রণে ও সাহায্য করে।
মেহেদী পাতা বাটা বাবুরোর সাথে নারিকেল তেল, টক দই, ডিম অ্যালোভেরা জেল বা জবা
ফুলের পেস্ট এর মত উপাদান মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। একটি সুলে এবং মাথার ত্বকে
ভালোভাবে লাগান এবং এক থেকে দুই ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া বেশি হলে সপ্তাহে
একবার বা দুবার এবং কম হলে প্রতি ১০ থেকে ১৫ দিনে একবার ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের যত্নে মেহেদি পাতার কার্যকরী ভূমিকা
চুলের যত্নে মেহেদি পাতার অনেক কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চুল ও
ত্বকের যত্ন, স্বাস্থ্যগত উপকারিতা এবং শারীরিক প্রদাহ কমানো। এটি খুশকি দূর করে
চুল পড়া কমায় লক্ষ্যে মজবুত করে এবং ত্বকের বলিরেখা ও দাঁত কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং ঘুমের সমস্যা দূর করতেও উপকারী।
১। চুলের যত্নে: মেহেদি পাতার প্রাকৃতিক ছত্রাক নাশক উপাদান মাথার ত্বককে শীতল
রাখে। এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে, চুল পড়া রোধ
করেতে সাহায্য করে এবং চুলের ঘনত্ব বাড়ায়। মেহেদি চুলের রক্ষতা কমিয়ে একে
স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে তোলে। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে সাদা চুল রং করতে ব্যবহার করা
হয়।
২। ত্বকের যত্নে: মেহেদি পাতার রস তোকে বলে রাখা এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য
করে। যেকোনো ধরনের ক্ষত ঘা এবং ত্বকের দাগ ছাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
ত্বকের চুলকানি একজিমা এবং অন্যান্য ছত্রাক জনিত সংক্রামক নিরাময়ে মেহেদী পাতা
ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বকের জ্বালাপোড়া যেমন পায়ের ক্ষিদালাপোড়া কমাতে
সাহায্য করে।
৩। স্বাস্থ্যগত উপকারিতা: মেহেদি পাতা হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং
রক্তচাপ স্বাভাবিক অর্থে ভূমিকা রাখে। মেহেদী গাছের ফুল মাথা ব্যাথার উপশম করতে
সাহায্য করে। নিয়মিত মেহেদী পাতার রস খেলে ঘুমের সমস্যা বা অনিদ্রা দূর হতে
পারে। নটকে মজবুত ও আকর্ষণীয় করতে মেহেদী পাতার ব্যবহার করা হয়। মেহেদি পাতার
চিবিয়ে খেলে বাড়ির রোগের ঝুকি কমে এবং মুখের আলসার নিরাময়ের সাহায্য করে।
মেহেদি পাতার রস খেলে কি হয়
মেহেদি পাতার রস খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও প্রকারিত হতে পারে, যেমন রক্ত চাপ
নিয়ন্ত্রণ, কৃমি দূরীকরণ, এবং ঘুমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া। তবে এটি
শুধুমাত্র খাঁটি মেরি পাতা হলে এবং সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
কৃত্তিম বা নকল মেহেদী খেলে নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন পেট খারাপ বা কিডনির
ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এটি মুখে খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
মেহেদি পাতার রস নিয়মিত খেলে কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক
থাকে, দ্যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। মেহেদি পাতা ভিজিয়ে খেলে
খেয়ে সেই পানি সকালে খালি পেটে খেলে কৃমির হয় বলে মনে করা হয়। প্রতিদিন নিয়ম
করে মেহেদি পাতার রস খেলে ঘুমের সমস্যা যেমন ইনসোম নেয়া অনিদ্রা থেকে মুক্তি
পাওয়া যায়।
মেহেদি পাতা নিমপাতার গাছের ছাল এবং অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে রস করে চিনি দিয়ে
খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমে। মুখের বা বলার হতে মেহেদি পাতার সেদ্ধ করে সেই
পানির মুখে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
কালো চুলে মেহেদি পাতা দিলে কি হয়
কালো ছেলে মেহেদি পাতা দিলে চুলের স্বাভাবিক রঙের উপর কোন বড় পরিবর্তন আসে না,
তবে এটি চুলকে ঘন, মজবুত, স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এটি খুশকি
দূর করে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। মেহেদী কালো চুলকে গাঢ় আছে বা বাদামি
আভা দিতে পারে। বিশেষ করে যখন সরাসরি সূর্যালোকে দেখা যায়, তবে এটি সাদা চুলকে
ভালোভাবে রং করে।
উপকারিতাঃ
মেহেদি চুলের গোড়া শক্ত করে যা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। মাথার টক ঠান্ডা ও
মসৃণ রাখতে সাহায্য করে এবং খুশকি দূর করতে পারে। এটি চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার
হিসেবে কাজ করে এবং চুলকে রেশমি নরম ও উজ্জ্বল করে তোলে। মেহেদী চুলের গোড়া
মজবুত করে এবং চুলকে ঘন করতে সাহায্য করে।
এটি কালো ছেলে সরাসরি রং করে রং যোগ করে না তবে সূর্যের আলোতে একটি হালকা লাল
সেবা বাদামি আভা দেখা যাইতে পারে। মেহেদি চুলের আগা ফাটা রোধ করতেও সহায়ক হতে
পারে।
ব্যবহার: মেহেদী ব্যবহার করার সময় অন্যান্য উপকরণের যেমন ডিম টক দই এলোভেরা জেল
বা জবা ফুলের পেস্ট সাথে মিশিয়ে হেয়ার পিক তৈরি করা যেতে পারে। এটি চুলের
আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। চুলে মেহেদি এক থেকে তিন ঘন্টা রাখা উচিত। এর
বেশি সময় রাখলে চুল সুস্থ হয়ে যেতে পারে।
চুলের যত্নে মেহেদি ও ডিম
চুলের যত্নে মেহেদী ও ডিমের মিশ্রণ একটি ধারণ প্রাকৃতিক উপায়। এই প্যাক চুলের
কন্ডিশনিং, পুষ্টি যোগানো এবং মজবুত করার জন্য কার্যকর। এটি চুলকে উজ্জ্বল ও মসৃণ
করে এবং চুল পড়ার দক্ষতা কমাতে সাহায্য করে।
পদ্ধতিঃ
১। মেহেদি পাতার বেটে বা গরুর সাথে অল্প পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
২। পেজটি ভালো করে ফাটয়ে একটি ডিম সাদা অংশ বা পুরো ডিম মেশান।
৩। যদি ব্যবহার করতে চান তাহলে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল বা এক চামচ টক দইও যোগ
করতে পারেন।
৪। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগান।
৫। এক ঘন্টা পর একটি ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতাঃ
মেহেদী এবং ডিমের মিশ্রন চুলকে নরম ও মুসলিম রাখে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং
চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। এই প্যাক চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায় এবং
রক্ষতা দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। মেহেদির আন্টি হ্যাঙ্গাস গন খুশকি দূর করতে
সাহায্য করে।
চুলে মেহেদি লাগিয়ে কতক্ষণ রাখা উচিত
চুলে মেহেদি সাধারণত ১ থেকে ৩ ঘন্টা রাখা উচিত। তবে, গারো রং চাইলে বা পাকা চুল
ঢাকতে চাইলে তিন থেকে চার ঘন্টা পর্যন্ত রাখা যেতে পারে। এর বেশি সময় রাখলে চুল
শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাই পাঁচ ঘণ্টার বেশি রাখা উচিত নয়।
মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় সঠিক নিয়ম জানুন
সাধারণ ব্যবহারের জন্য এক থেকে তিন ঘন্টা রাখা উচিত। দারো রং চাইলে তিন থেকে চার
ঘন্টা রাখা উচিত। ১৫ মিনিট মেহেদী পাতা ও অলিভ অয়েল এর মিশ্রণ বিশ থেকে ত্রিশ
মিনিট রাখা যেতে পারে, যা চুল পড়া রোধে সহায়ক। ডিম ও দই এর সাথে মেহেদি মিশিয়ে
ব্যবহার করলে এক ঘন্টা রাখতে পারেন।
কিছু অতিরিক্ত টিপসঃ
মেহেদি লাগানোর পর শ্যাম্পু করবেন না, পরের দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। মেহেদি
লাগানোর সময় বা পড়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না। মেহেদি লাগানোর পর শ্যাম্পু
করলে এবং তারপর তেল লাগানো লাগালে চুল নরম হয়। আধা ঘন্টা রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন এতে চুল মজবুত হবে এবং রং ভালো আসবে। মেহেদি লাগানোর পর পর দিন
শ্যাম্পু করুন।
নিজস্ব মতামত
মেহেদি পাতার সৌন্দর্য এবং এর প্রতি লেখক এর নিজস্ব মতামত বিভিন্নভাবে প্রকাশিত
হয়েছে। যেখানে এটি কখনো প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, আবার কখনো এর প্রাকৃতিক
ঔষধি গুণাবলীর জন্য প্রশংসিত হয়েছে। অনেক লেখক মেহেদি পাতাকে বাহ্যিকভাবে সবুজ
ভেতরে লাল ক্ষত হিসেবে তুলনা করেছেন, যা বাহ্যিক সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকা
গভীর বেদনা বা কষ্টের প্রতীক।
অন্য একজন লেখক মেহেদী পাতা থেকে একই ধরনের সৌন্দর্য ও কষ্টের প্রতীক হিসেবে
দেখেছেন, যেখানে এটি নিজের কাব্যিক আবেগকে গোপন রাখে। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী ধারণা,
যেখানে মেহেদি পাতা হলো হাসি, ভালোবাসা এবং মেহেদির সৌন্দর্যের প্রতীক। যা
আনন্দের মুহূর্তে উদযাপন করে, যেমন বিয়ে বা অন্যান্য উৎসব।

.webp)
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url