আঙ্গুরের উপকারিতা ও অপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ২০২৪

 আঙ্গুরের উপকারিতা ও অপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ২০২৪

বিদেশি ফল আঙ্গুরকে ফলের রানী হিসেবে অভিহিত করলেও ভুল হবে না।জনপ্রিয় এই ফল।,এটি দেখতে যেমন আকর্ষণীয়।তেমনি খেতেও সুস্বাদু। ভিটামিন সি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে ভরপুর আঙ্গুরের চাহিদা আমাদের দেশে ব্যাপক।

আঙ্গুর ফলের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছেঃযেমন অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া ,গ্যাস্এ‌বং এসিডিটি হতে পারে।এছাড়া কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এলার্জির প্রতিক্রিয়া যেমন খুশি বা হাঁচি হতে পারেবেশিরভাগ মানুষই আঙ্গুর ফল এর উপকারিতা না জেনেই এই ফল গ্রহণ করছে।

পেজ সূচিপত্রঃ আঙ্গুর ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা পুষ্টিগুণ বিস্তারিত জেনে নেই

আঙ্গুরের পরিচিতি

কখনো ভেবে দেখেছেন কিভাবে এই সুস্বাদু ফলটি আমাদের খাদ্য তালিকায় যুক্ত হল। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ আঙ্গুর চাষ করছে।, ধারণা করা হয, প্রাচীন সভ্যতায় মদ তৈরীর প্রধান উপকরণ হিসেবে আঙ্গুরের চাষাবাদ শুরু হয়। পরে দেখা দেখল যে সুস্বাদু ও মিষ্টি স্বাদের ফলটি আপনি এমনি এমনি খেতেও কম স্বাদ নয়। সবুজ, লাল, কালো,হলুদ, গোলাপি সহ বিভিন্ন রংয়ের আঙ্গুর পাওয়া যায়।

আধুনিক সভ্যতায় আঙ্গুর দিয়ে কিসমিস, জেলি থেকে জুস পর্যন্ত তৈরি করছে। আঙ্গুর ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আগ্রিকালটি পড়তে থাকুন।

আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ

আপনার পছন্দের আঙ্গুর কোন উপাদান কি পরিমাণে আছে তা জানেন কি? আপনি অবাক হবেন যে, আমার উচ্চ পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে আঙ্গুর ফলের উপকারিতা বেশ লক্ষণীয়। ইউ এফ ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার অনুসারে, এক কাপ লাল বা সবুজ আঙ্গুরের ওজন প্রায় ১৫১ গ্রাম যা থেকে প্রায় ১০৪ কিলো ক্যালোরি পাওয়া যায়। এতে বিদ্যমান অন্যান্য উপাদান গুলো হচ্ছেঃ উপাদান----প্রোটিন

পরিমাণ-----1.09 গ্রাম

উপাদান-----চর্বি

পরিমাণ=== ০.২৪ গ্রাম।

উপাদান-----শর্করা

পরিমাণ----২৩ পয়েন্ট ৩৭ গ্রাম

উপাদান----ফাইবার

পরিমাণ----১.৪ গ্রাম

উপাদান-----পটাশিয়াম

পরিমাণ----৩০ মিলিগ্রাম

উপাদান----সোডিয়াম

পরিমাণ ৩ মিলিগ্রাম

আঙ্গুর ফলের উপকারিতা আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ ভিটামিন বি এবং এ রয়েছে। এতে পানির পরিমাণ বেশি। এক কাপ আঙ্গুরে 121 গ্রামের বেশি জল থাকে। এতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন রুটিন এবং। জেকসন থিম বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক কাজ করে থাকে ।

কিভাবে আঙ্গুর আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করবেন

সারা বছরব্যাপী পাওয়া যায় এমন একটি ফল যদি আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করার কথা ভেবে থাকেন, তবে নিঃসন্দেহে আঙ্গুর যোগ করতে পারেন। বাজার থেকে তাজা আঙ্গুল কিনে রেফ্রিজারেটর সংগ্রহ করে বেশ কয়েকদিন আসে খেতে পারেন। তা যা ফল হিসেবে আঙ্গুর খাওয়ার সবচাইতে ভাল, তবে মুখের রুচি বৃদ্ধির জন্য জেলি জুস বা কিসমিস হিসেবেও গ্রহণ করতে পারেন। ডায়েটে আঙ্গুর অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আরো কিছু সহজ চিপস হয়েছে-

১। আঙুর অর্ধেক করে কেটে মুরগির সালাদের যোগ করুন।

২। তাজা আঙ্গুর, আনারস, কাটাপিস এবং স্ট্রবেরি দিয়ে একটি ফলের ককটেল তৈরি করুন।

৩। আঙ্গুর হেমাইত করুন এবং গরমের দিনে স্নাক্স বা রেজাল্ট হিসেবে খান।

৪। ১৩০ ক্যালোরি ম্যাক্স এর জন্য এক কাপ দাদা আঙ্গুর খান।

আঙ্গুর ফলের উপকারিতাঃ

আঙ্গুর একটি পুষ্টিকর ফল যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ত্বক ভালো রাখতে এবং হজম প্রক্রিয়ার সহায়তা করতে পারে। এতে ভিটামিন সি পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অক্সিডেন্ট উপাদান গুলোর পার্থক্য বা রোধে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

আপনার যদি আঙ্গুর ফল পছন্দ হয়ে থাকে, তবে আপনার অবশ্যই আঙ্গুর ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানা উচিত। না জেনে কেন আপনি এটি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিবেন বলুনতো চলুন আঙ্গুর ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন-

১।ভিটামিন ও খনিজ লবণের ভান্ডার

আঙ্গুর ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই আসে এটি দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণের ভান্ডার। এ টি জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এর সমৃদ্্‌ একদিকে শক্তি উৎপাদনে জিংস একটি অপরিহার্য খনিজ অন্যদিকে ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাধা এবং সুস্থ হাড়ের জন্য অত্যাবশক।

এছাড়াও সবুজ আঙ্গুলের থায়ামিন, রাইবোফ্লোবিন, ছয়ের মত ভিটামিনের ভালো পরিমাণ সরবরাহ করে। থায়ামিন এবং রায়বো ফ্লোভিন উভয় বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য এবং বিষয়ে প্রধানত প্রোটিন বিপাকের জন্য প্রয়োজন। 

২।হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে সবুজ আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা।

হৃদরোগ আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টরেল এর মাত্রা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় রোগীদের জন্য আঙ্গুর মহা ওষুধ হিসেবে কাজ করে। আঙ্গুর বিভিন্ন উপায়ে হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। এক কাপ ১৫১ গ্রাম ভাঙ্গরে পটাশিয়াম থাকে ২৮৮ মিলিগ্রাম এই খনিজ পদার্থটি স্বাভাবিক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পটাশিয়াম প্রাথমিকভাবে আপনার ধমনী এবং সেরা প্রসারিত করে যা রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। যাই হোক, ৩২ টি গবেষণা পর্যালোচনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে যে, আঙ্গুরের মধ্যে যে যোগগুলি পাওয়া যায়, তার রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে রোগের বিরুদ্ধে রোগ রক্ষা করতে পারে। 

৩। উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ 

আঙুর বেশ কিছু শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সর্বোচ্চ পাওয়া যায় আঙ্গুলের ঘন ত্বকে এবং বিজে। কিছু আঙ্গুরের যাতে আন্তঃশ্বায়নের উচ্চ পরিমাণে থাকে। গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, অ্যান্থোসায়ানিন মস্তিষ্ক এবং হরিদ্বার প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করতে সাহায্য করে। 

এর ফলে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এন্টি এক্সিডেন্ট হলো রেস ভেড়াট্রল এবং কুয়ার সেটিং যার হৃদয়ের উচ্চ রক্তের সরকারের মাত্রা এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া আঙুলে ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন এবং এলাজিক রয়েছে যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। 

৪। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়  

আমারে থাকার ডিঅক্সিডেন্ট গুলি নানা ধরনের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে। রেশমেরা ট্রল আঙ্গুরের একটি অ্যান্টি এক্সিডেন্ট যারা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এমনকি এন্টি এক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং আপনার শরীরের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ও বিস্তারকে বাধা দেয়। 

আঙ্গুরে কয়েরসেটিন, পান্থ সায়ানিন এবং ক্যাটেচিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যার সবকটিতে ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রভাব আছে। ল্যাব ও মানুষের উপর করা গবেষণায় দেখা গেছে যে, আঙ্গুরের রস মানুষের কোলন এবং স্তন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার কে বাধা দিতে পারে। যদিও এ সম্পর্কে পর্যাপ্ত গবেষণার অভাব রয়েছে।

৫। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে

আঙ্গুরের প্রতি কাঁপে 23 গ্রাম চিনি থাকে। আপনি ভাবতে পারেন তাহলে এটা কিভাবে রক্তের সরকারের মাত্রা কমায়। তাহলে এই নিন আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর। আর আপনার 

১। ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে 

২। আপনার অগ্নাশয়ের বেটা ও সুরক্ষা করে, যা ইনসুলিন তৈরি করে 

৩। খুশির ঝুলিতে গ্লুকোজ রিসেপ্টরের সংখ্যা বৃদ্ধি করে 

আপনার ডায়াবেটিস ঝুঁকি কমাতে এবং ডায়াবেটিস সম্পর্কিত জটিলতা প্রতিরোধের জন্য সময়ের সাথে সাথে আঙ্গুর গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। 

৬। দৃষ্টিশক্তি বাড়াই ও চোখের রোগ প্রতিরোধ করে 

আঙ্গুরের বিদ্যমান সুযোগ গুলি চোখের সাধারণ রোগ থেকে রক্ষা করে। ইঁদুরের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা যায়, আঙ্গুর খাওয়ানো ইঁদুর গুলোর মধ্যে চোখের রেটিনার ভালো কর্ম ক্ষমতা লক্ষ্য করা যায়। 

উপরন্তু একটি টেস্ট টিউব গবেষণায়,রেসভেরাটল, মানুষের চোখে রেটিনা কোষ কে অতিবেগুনি A(UVA) আলো থেকে রক্ষা করতে পারে। মোটকথা, আঙ্গুরের বেশ কিছু যোগ রয়েছে: যেমন রেসভেরাটল, লোটেইন এবং জেক সামথিং চার চোখের সাধারণ রোগ প্রতিরোধ সাহায্য করতে পারে। 

৭। স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে 

ওরে কেমন চোখ রয়েছে যা স্মৃতি সত্যি মনোযোগ এবং মেজাজ উন্নত করতে পারে এবং সেই সাথে অ্যালজাইমার রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। আঙ্গুর খেলে স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কারো কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

১১১ সুস্থ বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১২ সপ্তাহের একটি গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন ২৫০ মিলিগ্রাম আঙ্গুর বা এর পরিপূরক গ্রহণ করার ফলে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তীব্র মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দেখা যায়। 

আরো ইঁদুরের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, ৪ সপ্তাহ ধরে গ্রহণের ফলে ইদুরের স্মৃতি শক্তি এবং মেজাজ দুটোই বেশ উন্নত হয়। এছাড়াও ইঁদুরের মস্তিষ্কে বিকাশ এবং উন্নত রক্ত প্রবাহ লক্ষণ করা গেছে। 

৮। হাড় গঠনে সহায়তা করে সবুজ আঙুর খাওয়ার উপকারিতা 

আঙ্গুরের বিভিন্ন ধরনের খনিজ রয়েছে--পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি, এবং কে সহ ইত্যাদি। তাই হাড় গঠনে আঙ্গুর ফলের উপকারিতা কতটা তার সহজেই আন্দাজ করা যাচ্ছে। নিয়মিত আঙ্গুর খেলে অষ্টিওপরোসিস সহ হাড় ফয়জনিত নানা রোগ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। 

পোষ্ট মেনোপজাল মহিলাদের মধ্যে দুই বছরের গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৭৫ মিলিগ্রাম রেশভেনাতল দৈনিক দুবার গ্রহণ করলে হাড়ের খনিজ পদার্থ ঘনত্ব বাড়ে এবং হাড়ের ক্ষয় কমে যায়, এমনকি বড় ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি হ্রাস করে।

৯। বার্ধক্যের লক্ষণ ভিড় করে এবং দীর্ঘায়ু বৃদ্ধি করে 

আঙ্গুর ফল বার্ধক্যের লক্ষণ বিলম্বিত করতে এবং দীর্ঘায়ু বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । এবং দীর্ঘায়ু রোগ থেকে রক্ষা করে । এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং হার্ট ভালো রাখতেও সহায়ক হতে পারে ।

আঙ্গুরে এমন কিছু  যৌগ পাওয়া গেছে যা বার্ধক্য এবং জীবন কালকে প্রবাহিত করতে পারে। গবেষণায়  দেখায় যে,  রেসভারাটল,বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে বিলম্বিত করতে পারে। যেমন অক্সিডের টেপ ইস্টেজ হাস করা, স্টেট প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। এবং প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া উন্নত করা। তাই নিজের তারুণ্য বজায় রাখতে আজ থেকেই খাদ্য তালিকায় আঙ্গুর যুক্ত করুন।।

১০। ব্যথা প্রশমিত করে 

আঙ্গুর ফল সরাসরি ব্যথা উপশম করে না, তবে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ উপাদান প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। দেশের মতো প্রদাহ জনিত অবস্থার সাথে লড়াই করতে সহায়ক হতে পারে, আঙ্গুরে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে যা প্রদাহ জনিত অথরিটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সহায়ক হতে পারে।

আঙুরে আ্যানথোসায়ানিন ভেরাটল, নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা প্রদাহ বিরোধী আচরণ করে। তাই যেকোনো ব্যথা উপশম করতে আঙ্গুর ফলের ফলের উপকারিতা অকল্পনীয়। তাই দেরি না করে আজ থেকেই আঙ্গুর ফল খেতে শুরু করুন। 

১১। ত্বক এবং চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে 

আঙ্গুর ফল ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, কারণ এতে থাকা ভিটামিন অ্যান্টি এক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং চুলকে শক্তিশালী করে। আঙ্গুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বয়সজনিত সমস্যা যেমন কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে মসৃণ রাখে এবং শীতকালে ফেটে যাওয়া বা শুষ্কতা রোধ করে ।

রেশভেরাটল আপনার ত্বক এবং চুলের ওপর অনেক প্রতিরোধমূলক প্রভাব ফেলে। এটি ত্বকের ভেতর ক্ষতিকর ইউভি রোশনী প্রদেশে বাধা বেদ করেন এবং কালো জোনের ঘনত্ব বাড়ায়। আবার এটি চুল পড়ার পাহাড় কমায়। মূলত  আঙুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেসভেরাটল আপনার ত্বকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 

১২। স্থলতা হ্রাস করে 

স্থলতা আপনার ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ক্যান্সার সহ একাধিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াতে পারে। স্থলতা হাসির জন্য আমাদের প্রচেষ্টার ও কমতি নেই। উল্লেখযোগ্যভাবে আঙ্গুরে বিদ্যমান অ্যান্থ সয়া নিন বিরোধী প্রভাব থাকতে পারে। 

উচ্চ চর্বিযুক্ত সিঁদুরের ওপর এক গবেষণায় দেখা যায় যে অ্যান্থ সায়নিন শরীরের ওজন বৃদ্ধির দমন করতে পারে এবং লিভারের চর্বি কমাতে অনেকটাই সফল। আঙ্গুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষুধা নিবারণ করে এবং ওজন বৃদ্ধি করে স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে। 

১৩। কোষ্ঠকাঠিন্য উপষণ করে 

আঙ্গুর ফল প্রতিদিন আঙ্গুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় । অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । এটি কলেরা এবং পেটের প্রদাহ নিরাময় করে থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্য কতটা কষ্টকর তা শুধুমাত্র যারা ভুক্তভোগী তারাই জানে। খাদ্য তালিকায় ফাইবার ও কম পানি পান করার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। আঙ্গুরে ফাইবার ভরপুর একটি ফল, যা আপনার মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ফলে বলা যায় কোষ্ঠকাঠিন্য এর লক্ষণ ও পোষণ করতে আঙ্গুর অনেকটাই কার্যকর। আঙ্গুরে ৮১% জল রয়েছে, তাই তারা আপনাকে হাইড্রোয়েড রাখতে বেশ ভূমিকা রাখে।

১৪। নিদ্রাহীনতা দূর করে

নিদ্রাহীনতা বর্তমান প্রজন্মের জীবনধারায় যেন একটি স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। কিন্তু তারা জানে না এই নিদ্রাহীনতার কত রোগ ডেকে আনতে পারে। যাইহোক এই নিদ্রাহীনতার এক মহাসদ হিসেবে কাজ করে আঙ্গুর। আঙ্গুর ফল হল মেলাটোনিনের একটি প্রাকৃতিক উৎস।

মূলত মেলাটোনিন হচ্ছে ঘুমের পড়াশোনাকারী হরমোন যা আপনার ঘুমানো ও জেগে থাকার প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। মজার ব্যাপার হলো মেলাটোনিন প্রধানত আঙ্গুরের ত্বকে পাওয়া যায়। যে কারণে আঙ্গুলের রস থেকে ওয়াইনের মত পণ্যগুলি উৎপাদন করা হয়। 

১৫। ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি এবং রেটিনোপ্যাথি থেকে রক্ষা করে।

কিছু গবেষণা ইঙ্গিত করেছে যে, রেস্ট ভ্যারাতল ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি থেকে রক্ষা করতে পারে, যা স্নায়ুর কার্যকারিতা কে অক্ষুন্ন রাখে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এটি এই যুগের নিউরো প্রটেকটিভ প্রভাবের কারণে হতে পারে। 

এছাড়াও প্রাণের গবেষণায় ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে রেসভেরেটল, রেটিনোপ্যাথির রোগ ব্যাধি থেকে চোখকে রক্ষা করে। ডায়াবেটিস সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না রাখলে ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি এবং রেটন পথের জটিল রোগ হতে পারে। 

আঙ্গুর ফলের অপকারিতা ঃ

আঙ্গুর ফলের অপকারিতার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়া, গ্যাস বা  এসিডিটি, ওজন বৃদ্ধি এবং ঠান্ডা লাগা বা সর্দি কাশির সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত আঙ্গুর খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাকে। কিছু মানুষের আঙ্গুর বা আঙ্গুর জাত পণ্যের প্রতি এলার্জি থাকতে পারে।

১। পেট খারাপ হতে পারে 

আঙ্গুরের বেশ ভালো পরিমাণেই স্যালিসাইলিক, অ্যাসিড থাকে। কিছু গবেষণা দাবি করে যে,এই আ্যাসিড গ্যাসটরোইনটেসটানাল সমস্যা সৃষ্টি করতে সক্ষম। প্রদাহ, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া এমনকি ফোলা ভাবো  দেখা দিতে পারে।

২। ডায়রিয়া হতে পারে 

হ্যাঁ বেশি পরিমাণে আঙ্গুর খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। এর কারণ হলো আঙ্গুর একটি রেচক বা লেক্সোটিক প্রভাব ফেলতে পার।যা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা এবং ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় যার মানে এটি অস্ত্রের মধ্যে দিয়ে চলাচল কে করতে পারে।

গবেষণায় দেখা যায় যে চিনির অ্যালকোহল চিনিতে পাওয়া যৌবন সুযোগ গুলি ডায়রিয়া সৃষ্টির জন্য অনেকটা দায়ী। তবে আঙ্গুরে চিনির অ্যালকোহল আছে কিনা তা প্রমাণ করার জন্য পর্যাপ্ত তথ্য নেই। তবে আঙ্গুরের রস সংবেদনশীল ব্যক্তিদের মধ্যে ডায়রিয়া সৃষ্টির কারণ এতে সাধারণ সরকারও রয়েছে। অনেক সময় সঠিক ডায়রিয়া হতে পারে। 

৩। ওজন বৃদ্ধি পায়

অতিরিক্ত পরিমাণে আংগো খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়, কারণ এতে প্রচুর ক্যালরি ও প্রাকৃতিক চিনি থাকে। তবে পরিমিত পরিমাণে খেলে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। কারণ আঙ্গুরে থাকা ফাইবার ও পানি পেটভরা রাখে এবং বিপক উন্নত করে ।

আকারে ছোট হওয়ায় এক নিমিষেই অনেক আঙ্গুর বাসায় খেয়ে ফেলা যায়। হাই যে ছোট হলেও এক কাপ আঙ্গুর থেকে মোট ১০৪ কিলো ক্যালরি পাওয়া যায়। এছাড়াও কিসমিস আঙ্গুরের তৈরি নানা মুখ খাবার যেমন: জ্যাম, জেলি, আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য অনেকটাই দায়ী। আর যাই হোক দিনে অন্তত ৮ থেকে ১০ আঙ্গুরের বেশি গ্রহণ করবেন না।

৪। গর্ভাবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে 

গর্ভাবস্থায় নারীদের স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে হয় এই সময়ে নারীদের শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে এই পরিস্থিতিতে ছোট বড় প্রতিটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এই স্বাস্থ্য বিষয়ক গড়া গর্ভাবস্থায় খাবারের বিশেষ যত্ন নেওয়া পরামর্শ দেন। অনেক কিছুই খাওয়া নিষেধ করা হয়। এর মধ্যে আঙ্গুল রয়েছে। গর্ভাবস্থায় অনেক সমস্যা সৃষ্টি করতে পা... অনেক স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়া ধনের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে।

মূলত এই উপকারেই দীপ্তির জন্যই আঙ্গুরে বিদ্যমান রেসভেরাটলকে দায়ী করা যেতে পারে। এটি একটি শক্তিশালী পলিফেনল যা রেড ও পাওয়া যায়। গবেষণায় বলে রেস্ট ভ্যারাতল বা এর স্পম পূরক গুলি বিকাশ মান ব্রমের অগ্নাশয় এর সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই এদিকে বিশেষ নজর রাখা উচিত। 

৫। বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট হওয়ার প্রবণতা

শিশুদের শ্বাসকষ্টের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে যেমন হাঁপানি নিউমোনিয়া বা জন্মগত হৃদরোগ। এটি ব্যায়াম করার সময় বা অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতার কারণেও হতে পারে। বিশেষ করে নবজাতকদের মধ্যে অকাল জন্ম শ্বাস যন্ত্রের সমস্যা বা ক্ষণস্থায়ী লেয়ার মত জটিলতা দেখা দিতে পারে। শ্বাসকষ্টের লক্ষণ গুলোর মধ্যে দ্রুত শ্বাস নেওয়া শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া এবং ঠোঁট বা জিব্বা কালচে হয়ে যাওয়া উল্লেখযোগ্য।

আঙ্গুরের কারণে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। ব্যাপারটা অবাক করা হলেও বাস্তব। বিশেষ করে ৬ থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুরা ঠিকমতো সেবাতে পারেনা। এসময় যদি একটি সম্পূর্ণ আঙ্গুর তার মুখে প্রবেশ করানো হয় তবে শিশুটির শ্বাসনালী আটকে দম বন্ধ হয়ে যাবে। যত দ্রুত সময় শিশুদের মুখে হাত দিয়ে তা বের করে আনার চেষ্টা করুন অন্যথায় ডাক্তারের সাহায্য নিন।

৬। এলার্জি হতে পারে 

আঙ্গুরের এলার্জি হতে পারে যা সাধারণত বিরল হলেও এটি বিভিন্ন লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে যেমনঃ হজমের সমস্যা , বমি বমি ভাব , ডায়রিয়, ত্বকের প্রতিক্রিয়া ফুসফুসি , চুলকানি , লাল  ,ভাব এবং শ্বাসকষ্ট হাচি নাক বন্ধ হওয়া শ্বাসকষ্ট আঙ্গুরে জাতীয় পণ্য যেমন ওয়াইন থেকে এলার্জি হতে পারে।

আঙ্গুরের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় যাকে বলা হয় আঙ্গুলের লিপিড ট্রান্সফার প্রোটিন। প্রকৃতপক্ষে এটি আপনার মত গুরুতর এলার্জির প্রক্রিয়ার সৃষ্টি করতে সক্ষম। এটি এনাফি লেক্সিস এর কারণ হতে পারে। যার জন্য জীবন হুমকি স্বরূপ হতে পারে। যদি আপনার ইতোমধ্যে সমস্যা থাকে তবে আঙ্গুর আপনার জন্য কতটা নিরাপত্তা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।

৭। কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করে 

এক গবেষণায় দেখা যায় আঙ্গুর খাওয়ার কুকুরের তীব্র কিডনি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এমনকি বমিও হয়েছিল। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস এন্ড ডাইজেস্টিভ এন্ড কিডনি ডিজিজেস এর একটি প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, দীর্ঘদিনের কিডনি ও ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগীরা সীমিত পরিমাণে আঙ্গুর গ্রহণ করবেন। 

যদি ও কোন গবেষণায় মানুষের কিডনির প্রতিকূল প্রভাবের সাথে সরাসরি আঙ্গুরের যোগসূত্র খুঁজে পায়নি। তবে আপনাকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপনার যদি কোন ধরনের কিডনি রোগ থাকে, অনুগ্রহ করে আঙ্গুর থেকে দূরে থাকুন এবং আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন ।

শেষ কথা 

যাই হোক অতিরিক্ত আঙ্গুর গ্রহণের ফলে নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এরমধ্যে রয়েছে পেট খারাপ ,ডায়রিয়া ,ওজন, বৃদ্ধি, গর্ভাবস্থায় জটিলতা, বাচ্চাদের দম বন্ধ হওয়া এবং এলার্জি এমন কি কি দিয়ে সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং কিছু ওষুধের সাথে মেথি ক্রিয়া করতে পারে। যদিও আঙ্গুর আপনার ডায়েটে একটি স্বাস্থ্যকর সংযোজন তারপরেও যেকোনো প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া রাতে আঙ্গুরের পরিমিত গ্রহণ করা নিশ্চিত করুন। 

আঙ্গুর ফলের উপকারিতা পাশাপাশি অপকারিতা ও বেশ ভালোভাবে লক্ষ্যণীয়। তবুও এর উপকারী দিকগুলো কোন অংশই অবহেলা করার মতো না। পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সেই ফল আপনাকে ক্যান্সার সহ নানা রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করবে। আপনি যদি আঙ্গুর প্রেমী হয়ে না থাকেন তবে আগামীর ১৪ দিন নিয়মিত আঙ্গুল গ্রহন করুন। এবং এর প্রভাব আপনার শরীরের লক্ষ্য করুন। আমি নিশ্চিত আপনিও আঙ্গুর ফলের উপকারিতা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করবেন না।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url