থানকুনি পাতার অসাধারণ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে 21 টি তথ্য জানুন
আরো পড়ুনঃ তরমুজের উপকারিতা অপকারিতা তরমুজের বীজের উপকারিতা
থানকুনি পাতার অসাধারণ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। খাবার ও ওষুধ হিসেবে থানকুনি পাতার ব্যবহার আমাদের সমাজের শত শত বছর ধরে চলে আসছে।
থানকুনি পাতার বিভিন্ন বিষয়ের সাথে আজ আমরা বিশেষভাবে জানতে চলেছি। যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। তবে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্র থানকুনি পাতার অসাধারণ উপকারিতা
থানকুনি পাতার অসাধারণ উপকারিতা
থানকুনি পাতার অসাধারণ উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, ইংরেজিতে এই পাতাকে Cantella
Asiatica বলা হয়। সাধারণত বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এটি পাওয়া যায় এবং ঔষধ
হিসেবে এর ব্যবহার রয়েছে। আয়ুর্বেদ এবং ইউনানী চিকিৎসায় থানকুনি পাতার ব্যবহার
যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আমাদের দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব পূরণ করতে থানকুনি
পাতার বেশ ভূমিকা রয়েছে।
থানকুনি পাতার ২১ টি উপকারিতাঃ
১। থানকুনি পাতায় থাকা ফাইবার আমাদের হজম শক্তি উন্নত করে। পেটের বিভিন্ন সমস্যা
যেমন: গ্যাস, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থানকুনি পাতার খেলে দূর হয়ে
যায়।
২। থানকুনি পাতায় রয়েছে অ্যাসিয়াটিকোসাইড উপাদান,যা হত সারাতে কার্যকরী
ভূমিকা রাখে এবং নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে।
৩। থানকুনি পাতায় রয়েছে ট্রাইটারপেনয়েড উপাদান, স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং
মনোযোগ বৃদ্ধিতে ব্যাপক সহায়ক ভূমিকা রাখে।
৪। থানকুনি পাতায় থাকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের দাগ দূর করে এবং
ত্বককে উজ্জ্বল ও মুসলিম রাখে।
৫। থানকুনি পাতায় রয়েছে ম্যাদেক্যাসোসাইড উপাদান, যার শরীরে প্রদাহ প্রতিরোধ
করে এবং অস্ত্রের সমস্যা ও গাঁটের ব্যথায় উপকারী ভূমিকা রাখে।
৬। থানকুনি পাতায় রয়েছে পটাশিয়াম, যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং
রক্তনালী শিথিল করে।
৭। থানকুনি পাতায় রয়েছে বিটার উপাদান, যা খোদা বাড়ি দেয় এবং খাদ্য গ্রহণে
আগ্রহ তৈরি করে।
৮। থানকুনি পাতায় অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান পাওয়া যায়, যা লিভারের প্রদাহ
দূর করতে ভূমিকা রাখে।
৯। থানকুনি পাতা খেলে গলা ব্যথা ও কাশের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
১০। থানকুনি পাতা থাকা এশিয়াটিক এসিড শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, এবং জ্বর
কমাতে সাহায্য করে।
১১। থানকুনি পাতায় রয়েছে ন্যাচারাল ফ্লাভোনয়েড উপাদান, যার রক্ত সঞ্চালন
বৃদ্ধি করে এবং শরীরে বাড়তি শক্তিকে যোগান দেয়।
১২। থানকুনি পাতা ইনসুলিন এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রক্ত সরকারের মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১৩। থানকুনি পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং চোখের
স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
১৪। প্রস্রাবের সমস্যা দূর করতে থানকুনি পাতার ভূমিকা রয়েছে এবং এটি কিডনি সুস্থ
রাখতে সাহায্য করে।
১৫। থানকুনি পাতায় রয়েছে আয়রন এবং ক্যালসিয়াম উপাদান, যা শরীরের শক্তি যোগায়
এবং দুর্বলতা কমিয়ে দেয়।
১৬। থানকুনি পাতায় পাওয়া যায়, অ্যাডোপটোজেন উপাদান, যা মানসিক চাপ ও অবসাদ দূর
করতে সাহায্য করে।
১৭। থানকুনি পাতা খেলে পেটে গ্যাস্ট্রিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং বুক
জ্বালাপোড়া কমে যায়।
১৮। থানকুনি পাতায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান, জাতের পুরুষ
পূর্ণ গঠন করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ দূর করতে সাহায্য করে।
১৯। থানকুনি পাতায় থাকা এন্টি টক্সিন রক্তের ক্ষতিকর উপাদান দূর করে এবং রক্তের
বনের সমস্যাটা মতে সাহায্য করে।
২০। থানকুনি পাতায় থাকা প্রাকৃতিক তেল ঠোঁটের শুষ্কতা রোধ করে এবং নরম
রাখে।
২১। থানকুনি পাতায় পাওয়া যায় অ্যাডোপটোজেন উপাদান, যা মানসিক চাপ ও অবসাদ দূর
করতে সাহায্য করে।
যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা
যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা বেশ কিছু সমীক্ষার তথ্য
জানতে চেয়েছি। আমাদের দেহের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই সম্পর্কে রক্ষার জন্য আমরা
সবকিছু করতে পারি। আর এই সুন্দর দেহকে সারা জীবন কর্মে থানকুনি পাতার বিশেষ
ভূমিকা রয়েছে।
থানকুনি পাতায় উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আমাদের শরীরে ফ্রি
রেডিকেল দূর করে। যার ফলে কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ হয়। থানকুনি পাতা শরীরের ভেতর
থেকে বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এবং ত্বকে বয়স জনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে। থানকুনি
পাতা আমাদের শরীরের কোলাজেন উপাদান বাড়িয়ে দেয়। থানকুনি পাতা আমাদের শরীরে
কোলাজেন ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখে এবং বলে লেখা গঠনে বাধা দেয়।
থানকুনি পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি, যা ত্বকের মেলানিন উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে। এতে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, রং এর মত বজায় রাখে এবং নতুন কোষ গঠনে সাহায্য
করে। থানকুনি পাতায় থাকা ক্যালসিয়াম ও আয়রন উপাদান ত্বকের কোষে পুষ্টি যোগায়
এবং ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে। থানকুনি পাতা প্রতিদিন সকালে কাঁচা বা এর রস পান
করা যেতে পারে। পেস্ট তৈরি করে সরাসরি ত্বকের ব্যবহার করা যায়। ছালাত হিসেবেও
সিদ্ধান্ত থানকুনি পাতা খাওয়া যায়।
থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম
থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে কিছু বিষয় আপনাদের সাথে এখন আমি শেয়ার
করব। বিভিন্নভাবে থানকুনি পাতা খাওয়া যায়। কাঁচা খাওয়া, রান্না করে উঠো পেটে
রস করে খাওয়া প্রচলন আমাদের সমাজে রয়েছে। থানকুনি পাতা যেভাবেই আপনি খান না কেন
উপকার পাবেন। চলুন এ বিষয়ে আরো বেশ কিছু তথ্য জেনে নেই।
১। কাঁচা থানকুনি পাতা ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে সরাসরি সালাত হিসেবে খাওয়া
যায়। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি পাতা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হয়ে
থাকে।
২। ১০ থেকে ১২ টি থানকুনি পাতা ভালোভাবে ধুয়ে এক গ্লাস পানির সাথে ব্লেন্ডারে
ব্লেন্ড করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয় এবং শরীর
থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়।
৩। থানকুনি পাতা ভালোভাবে সিদ্ধ করে সাঁই এর মত খেলে ভালো স্বাস্থ্য উপকারিতা
পাওয়া যায়। দিনে একবার এশা পান করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শরীর তরজা
হয়।
৪। থানকুনি পাতা শুকায়ে গুড়া করে সংরক্ষণ করে প্রতিদিন একটা চামচ পাউডার সকালে
গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা পেয়ে যাবেন।
৫। তাজা থানকুনি পাতা ব্লেন্ড করে মধুবাদের সাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের
উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং বলে রেখা কমে যায়। থানকুনি পাতায় এই পেস্ট তোকে ১৫ থেকে ২০
মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়।
৬। থানকুনি পাতার রস শরীরে যে কোন ক্ষতস্থানে লাগালে ক্ষত দ্রুত সেরে যায়।
শরীরের বিভিন্ন পুরাতন দাগ কমাতে থানকুনি পাতা অ্যালোভেরা জেল এর সাথে মিশে
ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
৭। থানকুনি পাতার পেস্ট নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগালে চুল
মজবুত হয়। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৮। আপনার শরীরে যদি কোন ব্যথা থাকে, থানকুনি পাতার পেস্ট হালকা নরম করে ব্যথা
স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৯। থানকুনি পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানিতে পা ভিজে রাখলে ক্লান্তি দূর হয়
এবং পায়ের সংক্রামক চলে যায়।
গর্ভাবস্থায় থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, থানকুনি পাতা
প্রাকৃতিক ঔষধি গুনসম্পন্ন একটি পাতা, যা প্রাচীনকাল থেকে শারীরিক বিভিন্ন
সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় এই পাতা ব্যবহার করার আগে
অবশ্যই কিছু নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করলে ব্যাপক উপকার
পাওয়া যায়।
১।থানকুনি পাতার উপস্থিতি ফাইবার গর্ব অবস্থায় হজমের ক্ষেত্রে ভালো উপকার দিয়ে
থাকে। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে থানকুনি পাতা
ব্যবহার করতে পারেন । এক থেকে দুটি পাতার বেশি ব্যবহার করা কোন মতেই ঠিক হবে
না।
২।গর্ভাবস্থায় আয়রনের প্রয়োজন রয়েছে। থানকুনি পাতা আয়রনের একটি ভালো উৎস। এই
পাতা খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয় এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়
গর্ভাবস্থায় পরিমিত পরিমাণে থানকুনি পাতা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ে।
৩।এটি আপনার শরীরের বিভিন্ন কোষের গ্রোথ অনুরোধ করবে। এবং বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে
রক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
৪।থানকুনি পাতায় ভিটামিন সি রয়েছে, যা গর্ভের শিশুর হাড় ও ত্বক গঠনের সহায়ক
ভূমিকা রাখে। গর্ভাবস্থায় এক থেকে দুইটি পাতা খেলে গর্ভবতী মা ও শিশুর ত্বকের
স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয়।
৫। গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ একটি সাধারণ সমস্যা। থানকুনি পাতায় রয়েছে
পটাশিয়াম উপাদান, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
৬। থানকুনি পাতায় গানটি ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে, যা গর্ভাবস্থায় শারীরিক
ব্যথা ও ফলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
৭। গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ একটি সাধারন সমস্যা। থানকুনি পাতার নির্দিষ্ট উপাদান
সেরোটোনিন উপাদানের সাহায্য করে, যার গর্ভবতী মায়ের মানসিক অবস্থা ভালো
রাখে।
৮। থানকুনি পাতা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই অল্প পরিমাণে খাওয়ার চিন্তা করতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভাবস্থায় থানকুনি পাতার ব্যবহার করলে নিরাপদ থাকা
যাবে।
থানকুনি পাতার পুষ্টি উপাদান
থানকুনি পাতার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলতে গেলে, এই পাতা আমাদের হাতে পুষ্টির
ঘাটতি পূরণের সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। থানকুনি পাতায় থাকা পুষ্টি উপাদান
সম্পর্কে আমরা যদি জানি, সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে সুবিধা হবে এবং বুঝে শুনে আমরা
ব্যবহার করতে পারব। আমাদের সুবিধার্থে থানকুনি পাতার পুষ্টি উপাদান গ্রাম আকারে
নিম্নে উপস্থাপন করেছি।
পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা
পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা কিভাবে ব্যবহার করা যায় বা থানকুনি পাতা ব্যবহার
করলে পেটের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে কেমন প্রভাব ফেলবে সে বিষয়ে এখন আমরা বেশ
কিছু তথ্য জানবো। থানকুনি পাতা থাকা ভেজো উপাদান পেটের সমস্যার সমাধানে বিশেষভাবে
কাজ করে থাকে। যুগ যুগ ধরে এই সমস্যার সমাধানের ব্যবহার হয়ে আসছে।
১। থানকুনি পাতার অ্যান্টি অ্যাসিড বেশ বৈশিষ্ট্য পেটে জমে থাকা অতিরিক্ত এসিড
নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কামাই এবং পেটে
স্বস্তিদায়ক অনুভূতি প্রদান করে।
২। থানকুনি পাতায় থাকা ফাইবার উপাদান আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে অস্ত্রের
কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। থানকুনি পাতা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করতে
সহায়ক ভূমিকা রাখে।
৩। থানকুনি পাতায় থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য আমাদের অস্ত্রের প্রদাহ
কমাতে সাহায্য করে। আপনার অস্ত্রের সংবেদনশীলতা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে
থানকুনি পাতা।
৪। থানকুনি পাতা থাকা প্রাকৃতিক উপাদান পেটের বিভিন্ন সংক্রামক দূর করে। আপনার
যদি ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে থানকুনি পাতা খেতে
পারেন। এটি পেটের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে।
৫। আপনার যদি পেট ফোলা ভাব থাকে, সে ক্ষেত্রে থানকুনি পাতা ব্যবহার করলে এই
সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
৬। থানকুনি পাতার তিক্ত ৭ হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি আপনার খাবার সহজে পছন্দ করে
তুলবে।
৭। ডানকুনি পাতায় থাকায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট গন পেটের
বিভিন্ন সংক্রামক প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে, যার ফলে পেটের স্বাস্থ্য
সুরক্ষিত থাকে
৮। থানকুনি পাতা লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত করে, যা হজমের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়
এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দিতে পারে।
৯। থানকুনি পাতা খেলে আমাদের শরীরের মেটাবোলিজম উন্নত হয় এবং শরীরকে হিট রাখতে
সহায়ক ভূমিকা রাখে।
চুলের জন্য থানকুনি পাতার উপকারিতা
চুলের জন্য থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা বেশ কিছু তথ্য জানতে চলেছি।
থানকুনি পাতায় থাকা পুষ্টি উপাদান চুলের বৃদ্ধি, চুল মজবুত, চুল ও মাথার স্কেল
এর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়ক ভূমিকা রাখে। চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য
থানকুনি পাতার প্রাকৃতিক ব্যবহার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্তভাবে আমাদের বেশ কিছু
উপকার। চলুন এই বিষয়ে আরো জেনে আসি।
১। থানকুনি পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান চুলের কোষগুলোর অক্সিডেটিভ ভ
ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
২। থানকুনি পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি, যা চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া
রোধ করে।
৩। থানকুনি পাতায় ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা স্কালপে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে
স্কুলের দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করে ।
৪। থানকুনি পাত্তাই এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে, যা ইসকল্পের এর বিভিন্ন
প্রদাহ এবং খুশকি সমস্যা দূর করে।
৫। ম্যাগনেসিয়াম উপাদান থানকুনি পাতায় রয়েছে, যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়
এবং চুলের ঘনত্ব বাড়ায়।
৬। এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থানকুনি পাতায় পাওয়া যায়, যা স্কালপের
বিভিন্ন সংক্রাম প্রতিরোধ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে।
৭। থানকুনি পাতার উপকারিত অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা চুলের টেক্সচার উন্নত করে এবং
চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।
৮। আইরন উপাদান হানকুনি পাতায় পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে স্কাল্পের রক্ত সঞ্চালন
বৃদ্ধি হয় এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ে।
৯। থানকুনি পাতায় ট্রেনিং রয়েছে, যার চুলের গোড়ার শক্তিশালী করে এবং চুল ভেঙে
যাওয়া প্রতিরোধ করে।
১০। আপনার স্কাল্পে ফাংগাল ইনফেকশন দূর করে খুশকি প্রতিরোধে থানকুনি পাতার ভূমিকা
রয়েছে।
থানকুনি পাতার পেস্ট বা তেল আপনার স্কাল্প ও চুলের জন্য ব্যাপক উপকারী হয়ে থাকে।
ব্যবহারের আগে অবশ্যই আপনার স্কাল্পের সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি।
যেকোনো সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বিকল্প কিছু হতে পারে না
আরো পড়ুনঃ
চুলের যত্নে মেহেদি পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা
থানকুনি পাতার ব্যবহার
থানকুনি পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে, প্রাচীন কাল থেকে আয়ুর্বেদ ভেজষ
চিকিৎসার ক্ষেত্রে থানকুনি পাতার ব্যবহার দেখা যায়। বর্তমান সময়ে প্রচুর
মেডিসিন বাজারে রয়েছে, যার ফলে গাছ গাছড়া ব্যবহার করে চিকিৎসা পদ্ধতি অনেকটা
কমে গেছে। আপনারা যদি স্বাভাবিকভাবে থানকুনি পাতা ব্যবহার করেন, সে ক্ষেত্রে
স্বাভাবিকভাবে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
থানকুনি পাতা পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করলে মানসিক চাপ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে
কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। থানকুনি পাতা ব্যবহারের ফলে স্নায়ুতন্ত্র শান্ত থাকে এবং
মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায়। আপনার শরীরে যদি কোন ক্ষত হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে
থানকুনি পাতার রস ক্ষতস্থানে লাগালে ব্যাপক উপকার পাওয়া যায়। আমার এই লেখা
আপনাদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে লেখা। যেকোনো চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ
নেওয়ার বিকল্প নেই।
থানকুনি পাতার উপকারিতা
থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, প্রচুর উপকারী উপাদান থানকুনি পাতা
রয়েছে, যা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। থানকুনি পাতার যথেষ্ট এবং অতিরিক্ত ব্যবহারের
ফলে বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। পরিমিত পরিমাণে থানকুনি পাতা ব্যবহার করলে প্রচুর
উপকার পাওয়া যায়। বেশি ব্যবহারে কি কি সমস্যা হতে পারে সে বিষয়ে চলুন জেনে
নিন।
উগনি পাতার ২১টি ও অপকারিতাঃ
১। থানকুনি পাতায় রয়েছে মেডিকাসোসাইড অ্যাশিয়াটিকোসাইড , যা বেশি ব্যবহার করলে
লিভারে প্রভাব পড়তে পারে।
২। থানকুনি পাতায় ট্যানিন উপাদান রয়েছে, যা বেশি ব্যবহারের ফলে কিডনির সংক্রমণে
প্রভাব পড়তে পারে।
৩। থানকুনি পাতায় পটাশিয়াম উপাদান রয়েছে, যার বেশী ব্যবহারে রক্তচাপ অতিরিক্ত
কমে যেতে পারে।
৪। থানকুনি পাতায় গ্লাইকোসাইডস উপাদান পাওয়া যায়, যার ফলে অতিরিক্ত ব্যবহারে
বমি ভাব সৃষ্টি হতে পারে।
৫। থানকুনি পাতায় সাপোনিন উপাদান রয়েছে, যাব অতিরিক্ত ব্যবহারে হজমের সমস্যা
তৈরি হতে পারে।
৬। থানকুনি পাতায় প্রচুর ফাইবার রয়েছে, যার বেশি ব্যবহার করলে অস্ত্রের
গতি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
৭। অ্যাসিটিক অ্যাসিড উপাদান থানকুনি পাতায় রয়েছে, যা বেশি ব্যবহার করলে হজমের
সমস্যা সৃষ্টি করে এসিডিটি বাড়িয়ে দিতে পারে।
৮। আন্টি ডিপ্রেশন বৈশিষ্ট্য রয়েছে থানকুনি পাতায়, যার ফলে অতিরিক্ত ব্যবহারে
স্নায়ু বেশি শান্ত হয়ে অতিরিক্ত ঘুম আনতে পারে।
৯। থানকুনি পাতায় ফ্লাবন অ্যাড উপাদান পাওয়া যায় যার ফলে তোকে সংবেদনশীলতা
বৃদ্ধি করে।
১০। থানকুনি পাতায় এশিয়াটিকসাইড উপাদান পাওয়া যায়, যা বেশি ব্যবহারের ফলে
হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
১১। থানকুনি পাতায় ম্যাডেকাসোসাইড উপাদান রয়েছে, যা বেশি ব্যবহারের ফলে
গর্ভাবস্থায় হরমোন এর প্রভাব ফেলতে পারে।
১২। থানকুনি পাতায় ট্রেনিং রয়েছে যা বেশি ব্যবহারের ফলে গর্ভাবস্থায় দুধ
উৎপাদন কমে যেতে পারে।
১৩। থানকুনি পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে, যা বেশি ব্যবহারের ফলে
রক্তে জমাট বাধার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
১৪। থানকুনি পাতায় পটাশিয়াম পাওয়া যায়, যার ফলে বেশি ব্যবহার করলে রক্তে
সরকারের মাত্রা বেশি কমে যেতে পারে।
১৫। থানকুনি পাতায় ফ্ল্যাভোনয়েড পাওয়া যায় যা কিছু ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে
দিতে পারে।
১৬। দীর্ঘ মেয়েদের থানকুনি পাতা সেবন করলে শরীরে খনিজ ভারসাম্য নষ্ট হতে
পারে।
১৭। থানকুনি পাতায় গ্লাই গোসাইডস উপাদান রয়েছে, জাগ অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে
রক্তচাপের ওঠানামা ঘটাতে পারে।
১৮। থানকুনি পাতার টেনের উপাদান অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বকের সংবেদনশীলতা বেড়ে যেতে
পারে, যার ফলে সন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৯। থানকুনি পাতা শিশুদের শরীরের হজম প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়তে পারে, শিশুদের
ক্ষেত্রে থানকুনি পাতা ব্যবহার না করাই ভালো।
২০। থানকুনি পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা বেশি ব্যবহারের ফলে
তোকে প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
২১। থানকুনি পাতা বেশি মাত্রায় গ্রহণ করলে শরীরে বিষাক্ত উপাদান তৈরি হতে পারে।
পরিমাণ মেপে ব্যবহার করার কোন বিকল্প নেই।
নিজস্ব মতামত
থানকুনি পাতার অসাধারণ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষন আমরা আলোচনা করলাম,
এবং আমাদের প্রয়োজনীয় প্রচুর তথ্য পেলাম। এতক্ষণের আলোচনায় আমরা বুঝতে পারলাম
যে, বেশি ব্যবহার না করে পরিণত পরিমাণে থানকুনি পাতা ব্যবহার করলে শরীরে ব্যাপক
উপকার পাওয়া যায়।
আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লক লেখা হয়। এতক্ষণের আলোচনায় আশা
করি আপনি বিষয় সম্পর্কে প্রচুর তথ্য পেয়েছেন ও উপকৃত হয়েছেন। নিয়মিত এই
ওয়েবসাইট ভিজিট করলে বিভিন্ন বিষয়ের উপর তথ্য পাবেন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা
করে আজ এখানে শেষ করছি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url