মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় সঠিক নিয়ম জানুন

মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্ট থেকে জেনে নেন। আমরা সকলেই কমবেশি মধু খেয়ে থাকি কিন্তু মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় সবাই জানি না। 

তাহলে আসুন জেনে নেই পোস্ট থেকে কিভাবে মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করা যায়। তাছাড়া এই পোস্টে আমরা আরো জানব কিভাবে মধু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়। আপনি এগুলো জানতে চাইলে এই পোস্টটি সম্পন্ন করুন। 

আরো পড়ুনঃ  কাঁচা বাদামের চাহিদা এবং উপকারিতা ও অপকারিতা 

পোস্ট সূচিপত্রঃমধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় সঠিক নিয়ম 

মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়

মধু একটি প্রাকৃতিক উপাদান। মধু হাজারো মানুষের পরিশ্রমের ফল কারণ মৌমাছি বিভিন্ন ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে থাকে। মধু আমাদের জন্য অনেক উপকারী এবং এটি সফল জায়গায় পাওয়া যায়। মধুটির সকল ফুলের নির্যাস থাকে বলে মধু খাওয়ার জন্য এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তাহলে আসুন এখন জানি মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়। 

১।মধু ও দই এর ব্যবহার: এক চামচ মধু এবং এক চামচ দই মিশিয়ে পেষ্ট  বানিয়ে নিতে হবে, এবং এটি ২০ থেকে ৩০ মিনিট তোকে লাগিয়ে রাখতে হবে। সময় শেষ হওয়ার পর সাদা এবং স্বচ্ছ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তাহলে দেখবেন কয়েক দিনের ভেতর আপনার টপ উজ্জ্বল হতে শুরু করবে। 

২। মধু এবং পেঁপের ব্যবহার: মধু এবং পেঁপের ব্যবহার এক চামচ মধু এবং এক টুকরো পেঁপে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে, ২০ থেকে ২৫ মিনিট আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। তারপর সময় শেষ হলে স্বচ্ছ পানি দিয়ে ধুয়ে দিন তাহলে দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল হতে শুরু করবে। আপনি যদি এটি সাড়া শরীরে ব্যবহার করতে চান তাহলে দুই টুকরো দই এবং দুই চামচ মধু নিতে পারেন। 

৩। মধু এবং কলা ব্যবহার: এক টুকরো গলা কেটে নিন, এবং সামান্য কিছু মধু দিয়ে ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে নিন, এবং ২০ থেকে ৩০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। নির্দিষ্ট সময় পর পানি দিয়ে ধুয়ে তুলে ফেলুন এইভাবে সপ্তাহে তিন দিন করুন দেখবেন ভালো ফল পাবেন। 

৪। মধু এবং হলুদের ব্যবহার: মধু এবং হলুদের সামান্য কিছু হলুদ এবং দুই চামচ মধু নিন। এরপর ভালো করে পেস্ট বানিয়ে নিন এবং ৩০ মিনিটের মতো তোকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং কিভাবে সপ্তাহে তিন দিন করুন দেখবেন আপনার ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করবে। 

৫। মধু এবং ক্রিম এর ব্যবহার: মধু এবং ক্রিমের ব্যবহার এক টেবিল চামচ মধু এবং আপনার ব্যবহার করা ক্রিম একসাথে পেস্ট করে রাখেন এরপর সেটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখেন ৩০ মিনিটের কাছাকাছি কিছু সময়। সময় শেষ হওয়ার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং এইভাবে কিছুদিন চালিয়ে যান তাহলে ভালো ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। 

মধু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

মধু দিয়ে মুখের ব্রণ দূর করার জরি নেই। মুখের ব্রণ দূর করতে আপনি নিশ্চিন্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন। কারণ মধু পুরোটাই হচ্ছে প্রাকৃতিক এবং মধুতে থাকে বিভিন্ন ফুলের নির্যাস। যা আমাদের ত্বকের জন্য ব্যাপক উপকারী এবং দরকারি।

১। আপনি চাইলে মধুর সরাসরি মুখে লাগাতে পারেন। সারারাত লাগিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পানি দিয়ে বা আপনার ব্যবহারকে তো ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন করতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখের ব্রণ দূর হতে থাকবে। 

২। আপনি চাইলে আপনার নির্দিষ্ট প্রেমের ভিতরে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এতেও খুব ভালো কাজ করে থাকে। 

৩। মধুর সাথে গোলাপজল মিশিয়ে নেন এরপর মুখে তিরিশ মিনিট লাগিয়ে রেখে বসে থাকেন এরপর ৩০ মিনিট হয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যেভাবে সপ্তাহে তিন দিন পূরণ দেখবেন আপনার ব্রণ গায়েব হয়ে যাবে। 

তাহলে আমরা জানলাম যে কিভাবে মধু ব্যবহার করলে মুখে ব্রণ দূর হয় এবং মুখের যেকোন দাগ দূর হয়। এখন আমরা জানবো তৈলাক্ত ত্বকে মধুর ব্যবহার। 

তৈলাক্ত ত্বকে মধুর ব্যবহার

মধু প্রাচীনকাল থেকে রূপচর্চার জন্য অধিক পরিচিত। আয়ুর্বেদিক গন বলে থাকেন মধুর চেয়ে ত্বকের জন্য উপকারী আর কিছু হতেই পারে না। মধু শুধু খাওয়ার জন্য উপকারী নয় বরং এটি ত্বকের জন্য অনেক উপকারী কারণ মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ফুলের নির্যাস। তাহলে আসুন এখন আমরা জানি যে তৈলাক্ত ত্বকে মধুর ব্যবহার। 

গরমের তৈলাক্ত ত্বক দেখা দেয় কম বেশি আমাদের সবারই। এই তৈলাক্ত ত্বকের কারণে আমাদের মুখের আদ্রতা নষ্ট হয়ে যায় এবং সেই কারণে দেখা যায় ব্রণ এবং ব্ল্যাক হেডস। আসুন তাহলে আমরা এখন তোলা তোতা দূর করনের করণীয় জানি। 

১। প্রথমে এক টেবিল চামচ মধু এবং সেই সাথে নিন অর্ধেক টুকরো কলা। এখন এই দুটিকে একই সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং ত্বকে বিশ মিনিটের মত লাগিয়ে রাখুন এবং নির্দিষ্ট সময় পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুইদিন করতে থাকুন দেখবেন আপনার সমস্যার সমাধান হতে থাকবে। 

২। দ্বিতীয়ত আপনি একটা দুধ এবং এক  চামচ মধু , এবং আপনার ত্বকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এরপর নির্দিষ্ট সময় পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুইদিন করতে থাকুন দেখবেন আপনার সমস্যার সমাধান হতে শুরু করেছে। 

৩। আপনি একটা ডাবের পানি এবং সেখানে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করেন এবং ২০ থেকে ৩০ মিনিট তোকে লাগিয়ে রাখুন এবং নির্দিষ্ট সময়ে পর ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন। দেখবেন আপনার ত্বকের তৈলাক্ত দূর হতে শুরু করেছে। 

৪। চিনি এবং মধু দিয়ে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী এবং প্রতীক ব্যবহারযোগ্য প্রাকৃতিক উপাদান। মধু এবং চীনের মিশ্রণে আপনার ত্বক হতে পারে তৈলাক্তভাবে দূর এবং হতে পারে ম এবং উজ্জ্বল। প্রথমে এক কাপ চিনি এবং এক কাপ মধু মিশিয়ে পেস্ট করুন এবং ত্বকের মেঘের ৩০ মিনিট পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

৫। মধু এবং ডিমও ভাই ত্বকের জন্য ব্যাপক উপকারী। আর যদি দুইটি উপাদান একই সাথে ব্যবহার করা হয় তাহলে উপকারিতা বৃদ্ধি পাবে। প্রথমে নিম পাতা পিঠে বাগ বাজার থেকে পাউডার কিনে এনে তা এক চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে নিন। এরপর ২৫ মিনিট কাজে লাগিয়ে রাখুন এবং কিছুদিন এভাবে ব্যবহার করুন। 

৬। আপনি চাইলে আপনার টিম এবং মধ্য দিয়েও আপনার ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে বাজার থেকে আপনার ব্যবহারকৃত ভালো মানের ক্রিম কিনে আনতে হবে এবং সেখানে মধু মিশিয়ে রেখে দিন। এরপরে ক্রিম প্রতি রাতে ব্যবহার করুন এবং সকালে তাদের দিয়ে ফেলুন। 

তাহলে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম যে তৈলাক্ত ত্বকের মধুর ব্যবহার এবং করণীয় ধাপ সম্পর্কে। তাহলে আসুন এখন জানি মধুর পুষ্টির উপাদান নিয়ে।

মধু তে থাকা পুষ্টি উপাদান

মধু একটি প্রাকৃতিক উপাদান এবং অনেক উপকারী উপাদান। এটি আমাদের শরীরের জন্য ব্যাপক উপকারী এবং সেই সাথে ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। মধু আমাদের ত্বককে করে ব্রণ মুক্ত। ব্ল্যাকহেডস মুক্ত। এবং উজ্জ্বল মসৃণ। কারণ মধুতে রয়েছে ৪৫ এর চেয়েও বেশি অধিক পুষ্টি উপাদান যা আমাদের টপকে রাখে উজ্জ্বল এবং মসৃণ।

        নাম                                পরিমাণ     
        গ্লুকোজ                       ৩৭ শতাংশ 
        ফ্রুকটোজ                    ৪৪ শতাংশ 
        মন্টোজ                          ১৩ শতাংশ 
        সুক্রোজ                          ৫ শতাংশ 
        অ্যামিনো এসিড             ২৩ শতাংশ 
        পানি                                ২০ শতাংশ
        লবণ                                ২৭ শতাংশ 
        এনজাইম।                       ১২ শতাংশ 

এছাড়াও মধুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি কম কমপ্লেক্স। ভিটামিন বি ১২, জিংক, কপার,সালফেট, ম্যাঙ্গানিজ, এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা আমাদের জন্য অনেক উপকারী এবং প্রয়োজনীয়। 

ছেলেদের মুখে মধু মাখার উপকারিতা

মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ছেলে থেকে মেয়ে সকলের জন্যই সমান উপকারী। মধু যেমন মেয়েদের রূপচর্চার জন্য ব্যাপক উপকারী তেমন ছেলেদের জন্য তেমনি উপকারী। মধু ছেলেদের দাড়ির জন্য অধিক উপকারী। তাছাড়াও ছেলেদের ত্বকের জন্য মধুর উপকারিতা অনেক। তাহলে আসন জানি ছেলেদের মুখে মধু মাখার উপকারিতা। 

১। মধু দারের জন্য অনেক উপকারী কারণ এটা রয়েছে প্রাকৃতিক ফুলের নির্যাস ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ছেলেদের লোম কে মুসলিম করে। সেই সাথে দাড়ি কে করে ঘন মোটা এবং খুব তাড়াতাড়ি বড় করে। সাধারণত দাড়ি বেশি বড় হতে থাকলে আমাদের মুখে চুলকানি শুরু হয় এই মধুর ব্যবহারের ফলে সেই চুলকানি বন্ধ হয়ে যাবে। 

২। আমরা ছেলেরা যেহেতু বেশি বাহিরে থাকতে হয় তাই আমাদের মধ্যে আমিও বেশি এর কারণে তৈলাক্ত বেশি হয়ে থাকে। যার ফলে ছেলেদের মুখে ব্রণ ও বেশি হয়ে থাকে। এই মধুর সঠিক নিয়ম মত ব্যবহারের ফলে আমাদের মুখের তৈলাক্ততা কমে যায় সেই কারনে ব্রণ ও কমে যায়। কারণ মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াল যা আমাদের ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখে। 

৩। আমরা ছেলেরা বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে আমরা যেমন তেমন রূপচর্চা করতে পারি না। আমরা যখন তখন বাইরে যাই মুখের কোন প্রোটেকশন ছাড়াই যার ফলে আমাদের মুখে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে থাকে। যার ফলে আমাদের মুখে বিভিন্ন ধরনের গর্ত বা ক্ষত তৈরি হয়ে থাকে যা মুখের মধু ব্যবহারের ফলে নিরাময় হয়ে যায়। 

৪। কালো দাগ বা ব্ল্যাকহেডস দূর করণে ছেলেদের যেহেতু ব্যস্ততার বাইরে থাকে তাই সূর্যের আলোয় ছেলেদের মুখে ব্যাপক কালো দাগ বা ব্যাকে দেখা দেয়। এই দাগ গুলো সহজে নির্মল হতে চাই না। কিন্তু সঠিক নিয়ম মধু ব্যবহারের ফলে ছেলেদের মুখের দাগ গুলো নির্মল হয়ে যায়। 

মেয়েদের মুখে মধু মাখার উপকারিতা

মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান এবং অনেক আনন্দের উপাদান যার ব্যবহারের ফলে মুখকে করে মসৃণ এবং উজ্জ্বল। বিশেষত মেয়েদের ত্বকের জন্য মধু খুবই উপকারী। এই মধু মেয়েদের সৌন্দর্য রক্ষাতে ব্যাপক উপকারী। তাহলে আসুন এখন জানি মেয়েদের মুখে মধু মাখার উপকারিতা। 

১। মেয়েদের মুখে অনেক নমনীয় এবং মুসলিম যার কারণে সহজেই ব্যাকটের আক্রম করতে পারে। যার ফলে মেয়েদের ত্বকের নমনীয়তা এবং মসলা না তার নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। এই মধু নিয়মিত সঠিক ব্যবহারের ফলে মেয়েদের ত্বককে নমনীয় এবং মুসলিম রাখতে সাহায্য করে। 


২। দাগ এবং ব্ল্যাকহেডস মেয়েদের আগুনে সামনে রান্না করতে হয় তাই আগুনের তাপ তাদের মুখের আদ্রতা তো নষ্ট হয়ে যায়। চার ফলে মেয়েদের ত্বকে প্রচুর দাগ এবং ব্ল্যাকহেড দেখা দেয়। এই দেখ এবং ব্ল্যাকহেডস গুলো সহজে নির্মূল করা যায় না। কিন্তু নিয়মিত মধুপুর সঠিক পরিমাণে ব্যবহারের ফলে এই দাগ গুলো নির্মল হতে থাকে। 

৩। প্রশান্তি ও আরামদায়ক হিসেবে যেহেতু মেয়েরা রূপচর্চার জন্য অনেক নরম কসমেটিক অন্য ব্যবহার করে থাকে তা যার ফলে অনেক সময় মুখে জ্বালাপোড়া এবং দেখা দেয়। এই জ্বালাপোড়া ওরা আজ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত সঠিক উপায়ে মধুর ব্যবহার করা উচিত। কারণ এতে রয়েছে মশ্চারাইজিং এর ক্ষমতা। 

মধু ও লেবুর রস মুখে দিলে কি হয়

মধু ও লেবু দুটি উভয় প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের মুখের জন্য উপকারী। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াল তা ছাড়াই রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ইত্যাদি এবং লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, খনিজ লবণ, খাইয়ামিন বি১ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের মুখের ত্বককে টকের আদ্রতা বজায় রাখে। 

মধু ও লেবু মুখে মাখার নিয়মঃ

১। প্রথমে এক কাপ মধু ও এক কাপ লেবুর রস মিশিয়ে নিন এবং এটি ৩০ মিনিটের মতো মুখে লাগিয়ে রাখুন। নির্দিষ্ট সময় পরে স্বচ্ছ পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। 

২। দ্বিতীয় তো আপনি এক চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও এক চামচ হলদের বড় এই তিনটি উপাদান একই সাথে মিশে নিন এবং ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মতো মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর নির্দিষ্ট সময় পর তা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

৩। আপনি চাইলে লেবু ও মধুর মিশ্রণকে আপনার প্রতিনিয়ত ব্যবহার ক্রিমের সাথে মিশেও ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যেভাবে প্রতিনিয়ত ক্রিম ব্যবহার করেন একটুও সেভাবে ঠিক ব্যবহার করলেই হবে। 

মধু এবং লেবু মুখে দিলে কি হয় যেহেতু লেবুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সেহেতু এই দুইটি মিশ্রণ আমাদের মুখের যেকোন ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত রাখে। মধু তে থাকা বিভিন্ন রকমের পুষ্টি উপাদান আমাদের ত্বককে সতেজ এবং আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

মুখে লেবুর মিশ্রণ আমাদের মুখে আরো বেশি মর্যাদা এসেছে এবং করে থাকি। এটাই আমাদের মুখের ব্রণের শুকনো দাগকে নির্মল করতে সাহায্য করে থাকে। সেই সাথে বিভিন্ন ক্ষত এবং গর্তকে পূরণ করে দেয়। লেবু ও মধুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি আমাদের মুখের বিভিন্ন ঘা এবং ঠোঁট কাটা থেকে মুক্ত রাখে। তাছাড়া লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কারনে আমাদের মুক্তির উজ্জ্বল ও আরো বেশি নমনীয় করে। আসলে বলতে গেলে মধু ও লেবুর রস মুখে দিলেই এর প্রচুর উপকারিতা পাওয়া যায়। 

ত্বকে মধু মাখার ক্ষতিকর দিক

সাধারণত মধু আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী পদার্থ যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন উপকারে আসে। কিন্তু প্রত্যেক ভালো জিনিসে কিছু কিছু ক্ষতিকর দিক থাকে। তবুও মধুর সরাসরি কোন ক্ষতিকর দিক দেখতে পাওয়া যায় না। তাহলে আসুন আমরা মধুর ক্ষতি করে দিক সম্পর্কে জানি। 

মধুর যেমন খাওয়ার জন্য উপকারী তেমন ত্বকের জন্য উপকারী কিন্তু এর অধিক ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বকের কিছু সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও আমরা যদি মধু দেখতো খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের নিম্নে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের অতিরিক্ত এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের মধু থেকে কিছুটা দূরে থাকাই উত্তম। 

কারণ মধুতে কিছু পরিমাণ এলার্জির সংখ্যা পাওয়া যায়। এছাড়াও মধুর হতে একটু ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বকের ঘা এর প্রভাব দেখাতে যেতে পারে কারণ এটা থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি ত্বকের ঘা ও ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্ত দিল এর অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ঘা এবং ঠোঁট ফাটাও দেখা দিতে পারে। 

আমাদের ত্বকের জন্য বিশেষ কিছু ব্যাকটেরিয়া দরকার পড়ে থাকে যেহেতু মধুতে এন্টিব্যাকটেরিয়া ও এন্টি মাইক্রো ব্যাকটেরিয়া থাকে তাই অতিরিক্ত মধু ব্যবহারের ফলে সেই প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের উচিত সঠিক নিয়ম মত ব্যবহার করা যায় যাতে আমরা মধুর শুধু উপকার দেখতে পায়। 

শেষ কথা

আমরা এই পোস্টে আলোচনা করেছি মধুতে ত্বক ফর্সা করার উপায় এবং মধু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়। আশা করবো আপনারা এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে উপকৃত হবেন। এই মধু আমাদের জন্য অনেক উপকারী এবং প্রয়োজনে উপাদান। কিন্তু প্রত্যেক জিনিসেরই যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমন খারাপ দিকে রয়েছে। 

তাই একে আমরা সচেতন হয়ে ব্যবহার করব। আর আমরা যদি এটি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে চাই তাহলে অভিজ্ঞতা বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করব। আশা করছি মধু দিয়ে তক ফর্সা করার উপায় এবং মধু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। এরকম আরো প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে ফলো করতে থাকুন আমাদের ওয়েবসাইট।













এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url